তথ্যটা চমকে দেওয়ার মতো। যে দেশে একটা বড়ো সংখ্যক মানুষ দুবেলা খেতে পায় না, সেই দেশের মদ পিপাসুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আমাদের রাজ্য সহ দেশের অধিকাংশ রাজ্যে মদের দোকান ও বারের লাইসেন্স বেড়েই চলেছে। দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মদ বিক্রির হার! নতুন সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্যে চমকে যাবেন আপনিও! দেশে উৎসব এলেই কিছু জিনিসের চাহিদা বেড়ে যায় তার মধ্যে একটা জিনিসের চাহিদা পাল্লা দিয়ে বাড়ে তা হল মদ।
দেশে উৎসব এলেই কিছু জিনিসের চাহিদা বেড়ে যায় তার মধ্যে একটা জিনিসের চাহিদা পাল্লা দিয়ে বাড়ে তা হল মদ। উৎসব উদযাপনে সুরাপ্রেমীদের মদ চাইই চাই। অনেকে আবার প্রতিদিন মদ ছাড়া থাকতেই পারেন না। আবার অনেকে উৎসব উদযাপনেই মূলত মদ্যপান করে থাকেন। আর এই বিষয়েই একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে চমকে দেওয়া তথ্য। সেখানে দেখা গিয়েছে প্রতি মাসে ১০ শতাংশ করে মদ্যপানের হার বাড়ছে দেশে। আর এইক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সকলেই আছেন।
ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের একটি সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে প্রতি সময় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বাড়ছে মদ বিক্রির হার। সারাবছর ধরে যে হারে মানুষ মদ্যপান করছেন তাতে মদ বিক্রিতে আগামী দিনে দেশের বেশ কিছু রাজ্য নতুন রেকর্ড তৈরি করে ফেলতে পারে। আর এই মদ থেকে যে পরিমাণ বিপুল রাজস্ব আসে তা থেকে উন্নতি সাধনে বিভিন্ন কাজ করতে পারে সরকারও। সমীক্ষা থেকে উঠে আসা তথ্যতে দেখা গিয়েছে ১০ বছর ধরে মদ্যপানের হার দেশে ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। মদের দোকানে কোনও বয়সের সীমা না থাকার দরুন মদ বিক্রিও হচ্ছে দেদার। তবে, দেশের কয়েকটি রাজ্যকে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। এতে সরকারের আয় হয়তো বাড়ছে। কিন্তু ক্ষতি হচ্ছে মানুষের শরীরের। শেষ হয়ে যাচ্ছে বহু দরিদ্র আর মধ্যবিত্ত পরিবার।