www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 20, 2025 9:10 pm

এক আশ্চর্য আন্তর্জাতিকতাবোধ না থাকলে সুদূর টেমস নদীর পারে দাঁড়িয়ে কখনো মানুষ ভাবতে পারে না যে মা দুর্গা আসলে দশ হাতে দান করতে চেয়েছেন।

এক আশ্চর্য আন্তর্জাতিকতাবোধ না থাকলে সুদূর টেমস নদীর পারে দাঁড়িয়ে কখনো মানুষ ভাবতে পারে না যে মা দুর্গা আসলে দশ হাতে দান করতে চেয়েছেন। আর সেই কারণেই টেমস নদীর পারে বসে ওই পুজো কমিটি শিক্ষা বিস্তারে হাত বাড়িয়ে দিলো সুন্দরবনের দুঃস্থ ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি। প্রবাসে পুজোর আয়োজন করেই থেমে যেতে চান না লন্ডনের এই বাঙালিরা। তাঁরা চান, মা দুর্গার দশ হাতের দান যে কোনও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিশু বা কিশোরের সহায়তায় লাগুক। তাই টেমসের ধারে লন্ডন শারোদৎসবে পুজো, অঞ্জলি, ভোজের সঙ্গেই থাকছে বিশেষ একটি স্টল, যেখানে বাংলার পিছিয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের পড়াশোনা ও ভবিষ্যতের কথা ভেবে অতিথিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে অর্থ। সেই টাকা টেমসের তীর থেকে পৌঁছে যাবে বাংলায় সুন্দরবনের প্রান্তিক অঞ্চলে। এভাবেই ভারতের জন্যও তারা হাতে বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এই স্টল পরিচালনা করবে লন্ডনের একেবারে নবীন প্রজন্মের প্রবাসীরা। ওদের কেউ হাইস্কুলে পড়ে, কেউ কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে। উদ্যোক্তারা চান, মাতৃভূমির প্রতি দায়বদ্ধ হতে শিখুক তাঁদের পরবর্তী প্রজন্মও। এই কাজে তাঁদের সহায়তা করবে কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘বাঁচব’ ও আরও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ‘বাঁচব’র তরফে ধীরেশ চৌধুরী বলেন, ‘এত দূরে থেকেও আনন্দ সমাগমে নিজের শিকড়ের প্রতি এই দায়বদ্ধতা লন্ডনের এই প্রবাসীদের অন্যদের থেকে আলাদা করে। শিকড়ের টান বলতে এই লন্ডন শারদোৎসবে আরও অনেক কিছুই রয়েছে। এবার টেরাকোটার সাজে সেজে উঠবে ওই পুজোর মণ্ডপ। আর এই মণ্ডপের আলোকসজ্জার সরঞ্জাম চন্দননগর থেকে পাড়ি দিয়েছে আকাশপথে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *