বাঙালি মানেই উৎসব মুখর সম্প্রদায়। যেখানেই কয়েকটি বাঙালি পরিবার পাশাপাশি আসে তারা নিয়মিত নিজেদের মধ্যে গেট-টুগেদার করে। কিন্তু এতদিন দক্ষিণ লন্ডনে কোনো পুজোর আয়োজন তারা করে নি। এবার শুরু হলো – শারদীয়া দুর্গোৎসব। দেবী দুর্গার আরাধনায় সাটনের বাঙালিরা। বছরের কটা দিনের জন্য সমস্ত কিছু ভুলে আনন্দের জোয়ারে গা ভাসানোর পালা। আয়োজনে সাটন বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন। কুমোরটুলি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মায়ের প্রতিমা। ১০ অক্টোবর তা স্থাপন করা হবে সাটনের সেন্ট হেলিয়ার হলে। সেখানেই দেবী দুর্গার আরধনায় মাতবেন সাটনের প্রায় ২৭টি পরিবার। ১০ থেকে ১২ অক্টোবর, সাটনের সেন্ট হেলিয়ার হলের চারপাশে থাকবে বাংলার শারদীয়া উৎসবের আমেজ। সেই চেনা আড্ডা, সাজগোজ, অষ্টমীর অঞ্জলি, নবমীর সন্ধারতি, ধুনুচি নাচ, ছোটদের হইহুল্লোড়, নাচ, গান সবই হবে। থাকছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাচ্চাদের নানা প্রতিযোগিতা।
এই পুজোর প্রধান উদ্যোক্তা বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সঞ্জয় দাস ও দেবদীপ রায়। জানা গিয়েছে, বোধনের আগেই দেবী মূর্তির স্থাপন হয়ে যাবে। ১০ তারিখ ষষ্ঠীর পাশাপাশি সপ্তমীও পালন করা হবে। ১১ অক্টোবর অষ্টমীর পুজো এবং অঞ্জলি। শনিবার অর্থাৎ ১২ অক্টোবর নবমী ও দশমী পালিত হবে। তিন দিনের এই পুজোর আয়োজনে ভরপুর খানাপিনা থাকছে। ফুড স্টলে কলকাতা বিরিয়ানি, মুর্গ পোলাও থেকে শুরু করে সর্ষে ইলিশ, কাতলা কালিয়া সবই পাওয়া যাবে। থাকছে বাঙালি শিঙাড়া, ফিশ ফ্রাই, ঘুগনি, কাটলেট, প্রন বাটারফ্রাইয়ের মতো জিভে জল আনা পদ। মিষ্টিমুখ করা যাবে নলেন গুড়ের পায়েস, রসগোল্লা, সন্দেশ, পাটিসাপটার মতো মিষ্টি দিয়ে। বাঙালিদের পাশাপাশি স্থানীয় ব্রিটিশ বাসিন্দারাও যাতে এই আয়োজনের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে। যাঁরা চাইবেন, মাতৃ আরাধনায় যোগ দেবেন। সকলে মিলে দক্ষিণ লন্ডনে গড়ে তুলতে চলেছে এক টুকরো কলকাতা।