৫১ পীঠের অন্যতম পীঠ অসমের কামাখ্যা মায়ের মন্দির। হিন্দুদের বিশ্বাস এখানে একবার না আসলে জীবনের পুণ্য অর্জন সম্পূর্ণ হয় না। আজ মহা ধুমধামে শুরু হতে চলেছে কামাখ্যা মায়ের পুজো। মায়ের মূল মন্দির তৈরি করেছিলেন কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণ। বাকি অংশের নির্মাণ করেন অহম রাজারা। কামাখ্যা মন্দিরে এদিন রাত পর্যন্ত মহাযজ্ঞ চলে। মন্দিরের মধ্যে ১০টি নামী আখড়ায় প্রথা মেনে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। কথিত আছে, বশিষ্ঠ মুনি এক সময় কামাখ্যায় যজ্ঞ করেছিলেন। ভারতের অন্যতম কালী মন্দির এই কামাখ্যা মায়ের মন্দির। কথিত আছে, এখানে না এলে তন্ত্রসাধনা সম্পূর্ণ হয় না। অমাবস্যায় শিলাব্রহ্মময়ী মূর্তিকে সাজানো হবে রাজবেশে। তন্ত্রমতে হবে পুজো। কামাখ্যায় আছে এক দক্ষিণা কালীর মন্দির। সেখানেও কার্তিক অমাবস্যায় বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। আলোয় সেজে উঠেছে সমস্ত মন্দির। মন্দির প্রাঙ্গণে পৌঁছালেই মন ভক্তিতে ভরে ওঠে।
আজ দেবী মাকে মহাস্নান করিয়ে, ষোড়শপচারে ভোগ নিবেদন করা হবে। এরপর মহা বলিদান। মাছ ভোগ ও বলিদানের মহপ্রসাদ ভোগও নিবেদন করা হয় মাকে। সকালে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। এখানে শুধু দর্শন নয়, মাকে স্পর্শ করে পুণ্যলাভ করতে আসেন ভক্তরা। এখানে মায়ের যোনি পড়েছিল বলে কথিত আছে। মা এখানে দশমহাবিদ্যা রূপে পূজিতা। ১৬৬৫ সালে কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণ নীলাচল পাহাড়ের কোলে কামাখ্যা মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। কালীপুজো উপলক্ষে সকাল থেকে শুরু হয়েছে নিত্যপুজো। সন্ধেয় বিশেষ আরতি। অজস্র ভক্তবৃন্দে ইতিমধ্যে ভরে উঠেছে মন্দির প্রাঙ্গণ।