কয়েক হাজার বছর ধরে ভারতীয় জ্যোতিষ বিশ্বাস করে যে নব গ্রহর প্রভাবে আমাদের জীবন চলেছে। কিন্তু জীবনের চলার পথে আছে নানা বাধাবিঘ্ন। সেই বাধা দূর করার জন্য আছে নব-রত্ন। এক একটি গ্রহর ক্ষেত্রে এক একটি গ্রহর ভূমিকা প্রচুর। জ্যোতিষ বলছে, শনি গ্রহর প্রকোপ থেকে রক্ষা করার জন্য নীলা খুবই উপযোগী।জ্যোতিষশাস্ত্র বলে যে কোনও ব্যক্তি যদি শনির মহাদশা, অন্তর্দশা, সাড়েসাতি এবং ধাইয়ার দ্বারা প্রভাবিত হন তবে তার নীলকান্তমণি পরিধান করা উচিত। বিশেষ করে কুম্ভ ও মকর রাশির জাতক জাতিকারা নীলকান্তমণি পরার বাড়তি সুবিধা পান। জন্মকুণ্ডলীতে শুভ শনি থাকলেও নীলকান্তমণি পাথর পরিধান করা শুভ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া শনি ষষ্ঠ বা অষ্টম ঘরে থাকলেও নীলকান্তমণি পরা যেতে পারে। তবে জ্যোতিষের পরামর্শ ছাড়া কখনোই নীলা ধারণ করা উচিত না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
নীলম পাথরের প্রভাব খুব দ্রুত দৃশ্যমান হয়। যদি এই রত্ন আপনার পক্ষে অনুকূল না হয় তবে আপনার চোখ যন্ত্রণা শুরু করবে। নীলকান্তমণি পরা ব্যক্তির সঙ্গে যদি দুর্ঘটনা ও শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকে, তাহলে বুঝবেন এই রত্নটি আপনার জন্য শুভ নয়। অবিলম্বে তখন এটিকে অপসারণ করা উচিত। যখন নীলম অশুভ হয়, তখনই ব্যক্তিটি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে শুরু করে। তাই অবশ্যই ভালো জ্যোতিষের পরামর্শ নিয়েই নীলা ধারণ করবেন।
যদি যথাযথ প্রয়োগ করা যায়, তাহলে নীলা মানুষকে প্রচুর শুভ ফল দেয়। প্রথমত, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোনও সমস্যা হলে তা থেকে উপশম আসতে থাকে। নীলা শুভ হলে আর্থিক সুবিধার পাশাপাশি চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতির লক্ষণও দেখা যায়। নীলকান্তমণি পরিধান করার পরে যদি আপনার সঙ্গে অশুভ কিছু না ঘটে, তবে বুঝতে হবে যে এই পাথরটি আপনার জন্য শুভ। আপনার কুণ্ডলীতে যদি শনির মহাদশা চলে, তাহলে নীলকান্তমণি তার জন্য খুবই শুভ। নীলকান্তমণি পরার সঙ্গে সঙ্গে দুর্বল শনির প্রভাব অনেকগুণ বেড়ে যায়। নীলকান্তমণি পরলে মনের একাগ্রতা বাড়তে থাকে যার ফলে কার্যক্ষমতা বাড়তে থাকে।