www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 19, 2025 5:51 am

মৃতের বড় ছেলে কিষান অন্য গ্রামে থাকেন। বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে তিনি আসেন ভাইয়ের বাড়িতে। শুরু হয় শেষকৃত্যের প্রস্তুতি। কিন্তু গোল বাঁধে শেষকৃত্য নিয়েই। কিষান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি জ্যেষ্ঠপুত্র। তাই বাবার পারলৌকিক কাজ তিনিই করবেন। ঘটনার সময়ে তিনি মদ্যপ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু দাদার কথার পালটা দিয়ে দেশরাজ বলেন, তাঁর হাতে হবে বাবার শেষকৃত্য।

দুই ভাইয়ে ঝগড়া – যার বহু নিদর্শন আমাদের মধ্যে আছে। তাই বলে বাবার মৃত্যুর পরেই দাহ কার্য নিয়ে বিভেদ! এমন ঘটনা কিন্তু কম হয়, যা হলো মধ্য প্রদেশে। রবিবার মধ্যপ্রদেশের একটি আশ্চর্য ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। মৃত বাবার দেহ দুই ভাগে ভাগ করে সৎকার করার প্রস্তাব দিয়েছে ভাই।

সেই নিয়ে বিবাদ এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে পুলিশকে! ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের তিকমগড় জেলায়। সেখানকার জাতারা থানার অন্তর্ভুক্ত একটি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ধ্যানি সিং ঘোষ। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর রবিবার ৮৪ বছর বয়সি ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত ছোট ছেলে দেশরাজের কাছে থাকতেন। মৃত্যুর পরেই শ্মশানে দাহ কর্মের সময় বড়ো ভাই বিগড়ে বসলেন। আর শুরু হলো গন্ডগোল।

মৃতের বড় ছেলে কিষান অন্য গ্রামে থাকেন। বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে তিনি আসেন ভাইয়ের বাড়িতে। শুরু হয় শেষকৃত্যের প্রস্তুতি। কিন্তু গোল বাঁধে শেষকৃত্য নিয়েই। কিষান স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি জ্যেষ্ঠপুত্র। তাই বাবার পারলৌকিক কাজ তিনিই করবেন। ঘটনার সময়ে তিনি মদ্যপ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু দাদার কথার পালটা দিয়ে দেশরাজ বলেন, তাঁর হাতে হবে বাবার শেষকৃত্য।

কারণ মৃত্যুর আগে বাবার ইচ্ছা ছিল, ছোট ছেলেই তাঁর পারলৌকিক কাজ করুক। দুই ভাইয়ের দাবি নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। তুমুল তর্কাতর্কির মাঝেই কিষান হঠাৎ বলে বসেন, বাবার দেহ কেটে দুই ভাগে ভাগ করা হোক। নিজের নিজের ভাগ নিয়ে সৎকার করুক দুই ভাই। এমন আশ্চর্য কথায় হতবাক হয়ে যান গ্রামবাসীরা। অশান্তির আঁচ পেয়ে খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। সেখানকার আধিকারিক অরবিন্দ সিং ডাঙ্গি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় পুলিশকে। তাই কথায় বলে, মরেও শান্তি নেই।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *