www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

May 2, 2025 11:31 pm

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে অজস্র মন্দির। সেই সমস্ত মন্দিরের আছে বিভিন্ন ইতিহাস।

ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে অজস্র মন্দির। সেই সমস্ত মন্দিরের আছে বিভিন্ন ইতিহাস। তেমনই এক প্রাচীন ইতিহাসকে বহন করে চলেছে মধ্যপ্রদেশের মহাকালেশ্বর মন্দির। একটা সময় চিতা থেকে ছাই তুলে এনে এই মন্দিরে হত ‘ভস্ম আরতি’। যা শুরুর আগে মধু-চন্দন মাখিয়ে মহাসমারোহে চলত শিবলিঙ্গের দুধ স্নান। সেই রীতিতে বদল না এলেও, ভস্ম আরতিতে এখন আর ব্যবহার হয় না চিতার ছাই। তাতে অবশ্য এতটুকু কমেনি সুপ্রাচীন এই দেবালয়ের জৌলুস। বরং ভারতীয় ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক হিসেবে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে উজ্জয়িনীর মহাকালেশ্বর বা মহাকাল মন্দির। মধ্য প্রদেশের শিপ্রা নদীর তীরের এই দেবালয়ের নির্মাণের ইতিহাস স্পষ্ট নয়। চতুর্থ শতাব্দীতে কালিদাস রচিত ‘মেঘদূতম’-এ এই মন্দিরের উল্লেখ রয়েছে। পুরাণ মতে এই দেবস্থান নির্মাণ করেন স্বয়ং প্রজাপিতা ব্রহ্মা।

সনাতনীদের বিশ্বাস, শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি রয়েছে এই মহাকালেশ্বর মন্দিরে। সুপ্রাচীন এই দেবালয়ের সঙ্গে লোকমুখে প্রচলিত একটি কাহিনিও জড়িয়ে রয়েছে। এলাকাবাসীদের দাবি, একটা সময় উজ্জয়িনীর রাজা ছিলেন শিব ভক্ত চন্দ্রসেন। তাঁর ভক্তি ও নিষ্ঠার জোরে একবার মহাকাল রূপে আবির্ভূত হয়ে রাজার যাবতীয় শত্রু ধ্বংস করেন দেবাদিদেব। শুধু তাই নয়, চন্দ্রসেনের অনুরোধেই উজ্জয়িনীতে অধিষ্ঠান করতে রাজি হন শিব। রাজা নির্মাণ করেন ওই দেবালয়। এখনও প্রতিদিন নিত্য পূজায় ওই মন্দিরে হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটে।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *