জৈন ধর্মের প্রবর্তক মহাবীর জৈন ছিলেন শান্তির দূত। তিনি শান্তির কথা বলেছেন। মহাবীর জয়ন্তী জৈন ধর্মের মৌলিক নীতিগুলি যেমন অহিংসা (অহিংসা), সত্যবাদিতা (সত্য), অচুরি (অসেত্যা) এবং অনাগ্রহ (অপরিগ্রহ) পুনর্বিবেচনার সুযোগ করে দেয়। এই নীতিগুলি একজনকে একটি সুরেলা জীবনযাপন করতে এবং লোভ, শত্রুতা এবং ক্রোধের মতো নেতিবাচক আবেগ ত্যাগ করতে উৎসাহিত করে। তাঁর অন্যতম কয়েকটি বাণী হলো –
১) কোন প্রাণী বা জীবকে আঘাত, গালিগালাজ, নিপীড়ন, দাসত্ব, অপমান, যন্ত্রণা, নির্যাতন বা হত্যা করবেন না।
২) যদি তোমার প্রয়োজন না হয়, তাহলে জমাও করো না। তোমার হাতে যে সম্পদের আধিক্য আছে তা সমাজের জন্য, আর তুমিই এর ট্রাস্টি।
৩) রাগ আরও রাগের জন্ম দেয়, এবং ক্ষমা ও ভালোবাসা আরও ক্ষমা ও ভালোবাসার দিকে পরিচালিত করে।
৪) আসক্তি এবং বিতৃষ্ণা হলো কর্মের মূল কারণ, আর কর্মের উৎপত্তি মোহ থেকে। কর্ম হলো জন্ম ও মৃত্যুর মূল কারণ, এবং এগুলোকেই দুঃখের উৎস বলা হয়। কেউই তাদের নিজস্ব অতীত কর্মের প্রভাব থেকে রেহাই পেতে পারে না।
৫) পরিবেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নীতি হল আপনিই একমাত্র উপাদান নন।
৬) জ্বলন্ত বনের মাঝখানে একটি গাছের উপরে বসে আছে একজন মানুষ। সে সমস্ত জীবন্ত প্রাণীকে ধ্বংস হতে দেখছে। কিন্তু সে বুঝতে পারছে না যে শীঘ্রই তারও একই পরিণতি ঘটবে। সেই লোকটি বোকা।
৭) যদি তুমি কোন অভ্যাস গড়ে তুলতে চাও, তাহলে তা নিশ্চয়ই করো, যতক্ষণ না তা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। যতক্ষণ না এটি নিশ্চিত হয়, যতক্ষণ না এটি তোমার চরিত্রের অংশ হয়ে ওঠে, ততক্ষণ কোন ব্যতিক্রম, প্রচেষ্টায় কোন শিথিলতা না থাকা।
৮) বাঁচো এবং অন্যদের বাঁচতে দাও; কাউকে আঘাত করো না; জীবন সকল জীবের কাছেই প্রিয়।
৯) অহিংসা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম।
১০) সুখে-দুঃখে, আনন্দে-দুঃখে, আমাদের সকল প্রাণীকে নিজেদের মতো করে দেখা উচিত।