গল্পে এমন ঘটনা শোনা গেলেও বাস্তবে তেমন ঘটনা খুবই কম ঘটে। এবার সামনে আসলো উত্তর প্রদেশের দুই যুবক যুবতির কাহিনী। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের গুনার বাসিন্দা কাজল সাহারিয়া। কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় তাঁর। রয়েছে দুই সন্তানও। কিন্তু স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ওঠে তাঁর জীবন। নিজেকে শেষ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন গৃহবধূ। সেই উদ্দেশ্যে স্টেশনে আসেন। সঙ্গে ছিল সন্তান। ঝাঁপ দিতে যাবেনই, ‘ফরিস্তা’ হয়ে এলেন যুবক। যুবতীকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। কেন তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, জবাবে নিজের বৈবাহিক জীবনের কষ্টের কথা জানান কাজল। তারপতে দুজনের মধ্যে তৈরী হয় নতুন ভালোবাসার অধ্যায়।
যুবতির কাছে সব শুনে নিজের কষ্টের কথাও মন খুলেন বলেন যুবক। জানান, তাঁর প্রথম স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। সেই শোক ভুলতে করেন দ্বিতীয় বিয়ে। সবকিছুই ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু কয়েক বছর পর কঠিন অসুখে মারা যান দ্বিতীয় স্ত্রী। রয়েছে দু’পক্ষের সন্তানরা। মাঝে ভেবেছিলেন আত্মহত্যা করবেন তিনি। কিন্তু সন্তানদের মুখ চেয়ে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। এতদিন জীবন্ত লাশ হয়ে বাঁচছেন। একে অপরের দুঃখের কথা শুনে খারাপ লাগে দু’জনেরই। সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা বিয়ে করবেন। পরিবারের সম্মতি নিয়েই বিয়ে করেন তাঁরা।