রামনবমীর পরেই আসে রামভক্ত হনুমান জয়ন্তী। চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথিতে হনুমান জয়ন্তী উৎসব পালিত হয়। কথিত আছে, ক্রেতা যুগের এই তিথির ভোরেই নাকি হনুমানজির জন্ম হয়েছিল। পৌরাণিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই বিশেষ তিথিতে সংকটমোচন হনুমানজি আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই এই দিনটি তার জন্মদিন হিসাবে খুব রীতিনীতি মেনেই পালন করা হয়। চলতি বছর হনুমান জয়ন্তী পড়েছে ১২ এপ্রিল, শনিবার।
- পবনপুত্র –
তাছাড়াও প্রতি মঙ্গলবার হনুমানজির বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। মনে করা হয় হনুমানজির পুজো করলে জীবনে কোনও কাজেই ব্যক্তি পিছিয়ে পড়বেন না। এমন কি তিনি সংকটমোচন দেবতা নামেও পরিচিত। বলা হয়, হনুমানজি হলেন মহাদেবের রুদ্র অবতার। হনুমানজির অনেক অলৌকিক ও ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে। যা শক্তি, প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের দাতা বলে মনে করা হয়। হনুমানজিকে মহারাজের আটটি সিদ্ধি ও নয়টি নিধি রয়েছে। শিব পুরাণ অনুযায়ী হনুমানজি হলেন ভগবান শিবের এগারোতম অবতার। হনুমানজি পবন পুত্র নামেও পরিচিত। - বাড়িতে রাখুন হনুমানজির ছবি –
কথিত আছে, ভগবান শ্রী রামের ভক্ত হনুমানজি জীবনের সমস্ত কষ্ট দূর করতে পারেন। এবং ঘরে যদি আপনি হনুমানজির ছবি বা মূর্তি রাখেন, তাহলে আপনার জীবনে কোনও কষ্টই থাকবে না। শুধু তাই নয়, সমস্ত সমস্যা সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। - জানুন শুভ সময় –
চলতি বছর চৈত্র মাসের পূর্ণিমা তিথি শুরু হচ্ছে ১২ এপ্রিল ভোর ৩ টে ২১ মিনিট থেকে এটি ১৩ এপ্রিল বিকেল ৫ টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। তাই উদয় তিথি অনুযায়ী এই বছর হনুমান জয়ন্তী পালিত হবে ১২ এপ্রিল। - উপোস করবেন –
হনুমান জয়ন্তীর দিন হনুমানজির পুজো করলে আপনি উপোস করে ভগবানের পূজো করবেন। ভুলেও এই দিন আমিষ জাতীয় কোনও খাবার খাবেন না। এতে জীবনে নানান সমস্যা আসবে। ক্রুদ্ধ হতে পারেন বজরংবলী। - কথিত আছে সূর্যোদয়ের সময় জন্ম হয়েছিল হনুমানজির। তাই হনুমান জয়ন্তীর দিন ব্রাহ্মমুহূর্তে ঘুম থেকে উঠুন। আর এই সময়ে যদি আপনি হনুমানজির পুজো করতে পারেন তাহলে জীবনে সফলতা নিশ্চিত।