এই বিশেষ দিনে সকলেই নতুন জামা কাপড় পরেন। বন্ধু-বান্ধবী, আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে হইহুল্লোড় করে কাটিয়ে দেন। এই বিশেষ দিনটি অত্যন্ত শুভ। এই বিশেষ দিনে এমন কিছু প্রতিকার রয়েছে সেগুলো যদি আপনি করতে পারেন, তাহলে আপনার জীবনের দুঃখের দিন শেষ হবে। আপনারা কোনও কাজেই পিছিয়ে পড়বেন না। পয়লা বৈশাখের দিন কোন কোন কাজ করলে আপনার অভাব কাটবে, জানুন।
- লক্ষ্মী গণেশের পুজো করুন-
তারপর লক্ষ্মী গণেশের পুজো করুন। পুজোর শেষে আরতি করুন। লক্ষ্মী ও গণেশের প্রসাদ দারিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে বিলিয়ে দিন। এতে দেখবেন আপনার জীবনে সুখের সময় শুরু হবে। সেই সঙ্গে আপনি সকল কাজে এগিয়ে যেতে পারবেন। - লাড্ডু দিন –
যদি আপনি অভাব দূর করতে চান, তাহলে এই পয়লা বৈশাখের দিন অবশ্যই সকলের মধ্যে লাড্ডু ভাগ করে দিন। এতে ভগবান গণেশের বিশেষ কৃপা পাওয়া যাবে, জীবনে সকল কাজে এগিয়ে যেতে পারেন। আর্থিক দিকেও খুব লাভ হবে আপনার। - মা লক্ষ্মীর কাছে এগুলি দিন –
পয়লা বৈশাখের দিন যদি পারেন একটি লাল কাপড়ে একটা কড়ি, এক টুকরো হলুদ, এক টাকার কয়েন ও একটা গোটা পান মুড়ে মা লক্ষ্মীর পায়ের কাছে রেখে দিন। তারপর সেটি নিয়ে আপনি পয়লা বৈশাখের পরের দিন আপনার আলমারি কিংবা আপনার পার্সে রেখে দিন। এতে দেখবেন আপনার বাড়ি থেকে অভাব দূর হবে। - স্বস্তিক চিহ্ন আঁকবেন –
যেখানে আপনি দেবী লক্ষী ও গণেশের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করবেন, সেখানে অবশ্যই স্বস্তিক চিহ্ন আঁকবেন। ঘটে স্বস্তিক চিহ্ন না দিলে আপনার বাড়িতে কিন্তু দেবী লক্ষ্মী ইতিবাচক শক্তি নিয়ে প্রবেশ করবেন না। সেখানে দেবী লক্ষ্মী থাকেন না। তাই পয়লা বৈশাখে নতুন ঘট স্থাপন করুন। - শঙ্খ –
যদি আপনি আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে জীবনে এগিয়ে যেতে চান, তাহলে পয়লা বৈশাখের দিন যে শঙ্খে জল ভরে আপনি পুজো করবেন, সেই শঙ্খের জল পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিন। এতে দেখবেন আপনার বাড়ি থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হবে। প্রবেশ করবে ইতিবাচক শক্তি, এতে জীবনে সকল কাজে এগিয়ে যেতে পারবেন।