শুধু কলমা পড়তে পাড়ার কারণে মঙ্গলবার হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন অসমনিবাসী বাংলার অধ্যাপক দেবাশীস ভট্টাচার্য্য। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে ২২ তারিখের জঙ্গি হানায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। সেদিন প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরে আসা পর্যটকদের অনেকেই বলছেন হামলাকারীরা ধর্ম-পরিচয়পত্র জানতে চেয়েছিলেন। তারপরেই শুরু হয়েছিল হামলা। কাউকে কাউকে বলা হয়েছিল কলমা পড়তেও। কিন্তু কী এই কলমা? কলমা পড়ার অর্থ আল্লাহকে এক বিশেষভাবে উপাসনা করা। “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ ” – অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কেউ উপাস্য নয়। একমাত্র আল্লাহর উপাসনা করা উচিত। প্রফেট মহম্মদ হলেন আল্লাহর বার্তাবাহক। আল্লাহর বার্তা আমাদের কাছে পৌঁছে দেন তিনিই।
নাখোদা মসজিদের ইমাম মৌলানা মহম্মদ শফিক কাশমি বলেন, “কাউকে ইসলামে দাখিল করানোর জন্য কলমা পড়তে হয়। কলমা পড়লে মন শান্ত হয়। ‘গুণাহ’ বা পাপস্খলন হয়।” ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র। পাঁচ ধরনের কলমা আছে। তাইয়্যেব কলমা, শাহদা কলমা, তামজীদ কলমা, তাওহীদ কলমা, আস্তাগফার কলমা। প্রত্যক কলমার নিজস্ব অর্থ রয়েছে। ইমাম জানাচ্ছেন, কলমার পড়ার অর্থ, আমি সাক্ষী দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া আর কেউ উপাস্য নয়, প্রফেট মহম্মদ আল্লাহর বার্তাবহক এবং তাঁর ‘বান্দা’। এই পৃথিবীতে যা কিছু সব আল্লাহর সৃষ্টি। সকলে আল্লাহর সন্তান।