আনন্দমার্গ একটি আধ্যাত্মিক ও সমাজসেবামূলক সংস্থা, যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য খোলা। এটি আধ্যাত্মিক মুক্তি ও মানবসেবার উপর জোর দেয়। আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী শ্রী আনন্দমূর্তি (প্রভাত রঞ্জন সরকার)।
আনন্দমার্গের মূল ধারণা:
- এক ঈশ্বর:
আনন্দমার্গ বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর এক এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তাঁর মানসিক চিন্তা-তরঙ্গের সৃষ্টি। - সৃষ্টিকর্তা:
ঈশ্বর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, এবং মানবজাতি তাঁর ইচ্ছানুসারে কাজ করে। - জীবন যাত্রা:
মানবজীবন হলো ঈশ্বরের কাছে ফিরে যাওয়ার এক যাত্রা, যা আত্ম-উপলব্ধির মাধ্যমে সম্ভব। - সমাজসেবা:আনন্দমার্গের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল সমাজসেবা, যেখানে সকল মানুষের শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক চাহিদা পূরণের চেষ্টা করা হয়।
- ষোড়শ বিধি:
আনন্দমার্গের অনুশীলনকারীরা “ষোড়শ বিধি” নামক একটি নিয়ম অনুসরণ করে, যা আধ্যাত্মিক ও সামাজিক জীবনকে গাইড করে। - তন্ত্র ও যোগ:
আনন্দমার্গে তন্ত্র ও যোগ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা আধ্যাত্মিক উন্নতির জন্য সাহায্য করে। - আনন্দমার্গের দর্শন:
জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে:
আনন্দমার্গ জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ, আর্থ-সামাজিক অবস্থা নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য উন্মুক্ত। - মুক্তির অধিকার:
সকলের জন্মগত অধিকার হলো আধ্যাত্মিক মুক্তি ও মুক্তি। - মানবসেবা:
মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়, যেন সকলে উপকৃত হয়। - শান্তি ও আনন্দ:
আনন্দমার্গের মূল লক্ষ্য হলো শান্তি ও আনন্দ প্রতিষ্ঠা করা, যা ব্যক্তিগত ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই সম্ভব। আনন্দমার্গ একটি নতুন ধর্মীয় আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত হয়, যা হিন্দু ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত। এর লক্ষ্য হলো আত্ম-উপলব্ধি ও মানবসেবা।