www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 20, 2025 4:17 pm

বৈষ্ণব ধর্ম হিন্দু ধর্মের একটি বিশেষ শাখা। এখানে বিশ্বাস করা হয়, ভগবান বিষ্ণু সমস্ত মহাবিশ্বের পরিচালক। তিনিই পরিচালনা করেন সমস্ত সৃষ্টিকে।

বৈষ্ণব ধর্ম হিন্দু ধর্মের একটি বিশেষ শাখা। এখানে বিশ্বাস করা হয়, ভগবান বিষ্ণু সমস্ত মহাবিশ্বের পরিচালক। তিনিই পরিচালনা করেন সমস্ত সৃষ্টিকে। তাই বৈষ্ণবদের আরাধ্যা দেবতা শুধু বিষ্ণু। বৈষ্ণব  দর্শনের মূল কথা হল আত্মার সাথে পরমাত্মার মিলন এবং এই একাত্মতার জন্য যে পথ অবলম্বন করা হয় তা হলো, কেবলমাত্র প্রেম ও ভক্তি এবং সম্পূর্ণরূপে অহিংসা। বৈষ্ণব দর্শনে পরমাত্মার উপাসনার জন্য সকল প্রকার জাগতিক গুন বর্জন করে নির্গুণ হয়ে পরমাত্মার সাথে একাত্ম হওয়ার উপদেশ রয়েছে। বৈষ্ণব দর্শনে বিষ্ণুকে সমগ্র জগতের পালনকর্তা রূপে গণ্য করা হয়। বিশ্বাস ও ধর্মানুশীলনের ক্ষেত্রে, বিশেষত  ভক্তি ও ভক্তিযোগ এখানে প্রধান। বৈষ্ণব দর্শনের প্রধান তাত্ত্বিক ভিত্তি উপনিষদ ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্য  পৌরাণিক  শাস্ত্র। যথা –  শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা, ভাগবত পুরাণ, বিষ্ণুপুরাণ, গরুড় পুরাণ ও পদ্মপুরাণ। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরবর্তী কালে লেখা বিভিন্ন বৈষ্ণব গ্রন্থ।

সাম্প্রতিককালে ধর্মসচেতনতা, স্বীকৃতি ও ধর্মপ্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের বাইরে বৈষ্ণবদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে বৈষ্ণব দর্শনের প্রসারে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে আসছে গৌড়ীয় বৈষ্ণব শাখাটি। মুখ্যত, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার অন্তর্গত নবদ্বীপ গ্রামে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর হাত ধরেই এই গৌড়ীয় বৈষ্ণব শাখাটির প্রচলন। চৈতন্য মহাপ্রভুর ভাবধারাকে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ ইসকন “হরে কৃষ্ণ” আন্দোলন জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে ভৌগোলিক প্রসার ঘটিয়ে সম্পাদন করছে। বহু বিদেশিও এই নবদ্বীপে এসে সমগ্র বিশ্বে বৈষ্ণব দর্শনের প্রচারের জন্য অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করে চলেছেন। এছাড়াও অতি সম্প্রতি অন্যান্য বৈষ্ণব সংগঠনও পাশ্চাত্যে ধর্মপ্রচারের কাজ শুরু করেছে। এছাড়াও ভগবান চৈতন্য দেবের জীবন কাহিনী নিয়ে লেখা ‘চৈতন্যজীবনী’ অবশ্যই বৈষ্ণবদের আকর গ্রন্থ।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *