সুন্দরবন অঞ্চলেও গভীর জঙ্গলে আছে কয়েকটি বন দুর্গার মন্দির। কিন্তু এই মন্দিরটির বৈশিষ্ট্য একদম অন্য রকম। মাঝে ছোট্ট কাঁচা পথ । সেই আকাঁবাকা পথ ধরে গভীর জঙ্গলের ভিতরে পূজিত হন মা বনদুর্গা । শত শত মানুষের সমাগম ঘটে এই পুজোকে ঘিরে । পুজোর পাশাপাশি বসে মেলাও । শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত বৈকণ্ঠপুর অভয়ারণ্যের গভীর জঙ্গলের মধ্যে এই বনদুর্গার মন্দির। কথিত আছে, এখনকার বনদুর্গা মন্দির সেই সময় ডাকাত সর্দার ভবানী পাঠক ও তাঁর শিষ্যা দেবী চৌধুরানির গোপন আস্তানা ছিল । ইতিহাসে থেকে জানা যায়, দেবী চৌধুরানি নাকি নৌকা করে করতোয়া নদী হয়ে সেখানে আসতেন । এখানে পুজো অর্চনা করতেন । তখন থেকেই এখানে সূচনা হয় পুজোর ।
ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যায়, সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর ‘দেবী চৌধুরানি’ উপন্যাসেও ‘দিল্লিভিটা চাঁদের খাল নামে’ এই স্থানের কথা উল্লেখ করেছেন । প্রথমে স্থানীয় রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষরা ঠুনঠুনির পুজো নামে মন্দিরে পুজোর শুরু করেন । পরবর্তীতে 44 বছর ধরে একটি নতুন কমিটি গঠন করে মা বনদুর্গার নামে পুজোর আয়োজন করে আসছেন উদ্যোক্তারা। বৈকণ্ঠপুর গভীর জঙ্গলের প্রায় আড়াই কিলোমিটার ভেতরে গেলে দেখা মিলবে ওই বনদুর্গা মন্দিরের । বছরের অন্যান্য সময় সেখানে জনমানবশূন্য থাকলেও পুজোর দিন লোক সমাগমে ভরে যায় ।