শনিবার মহা আড়ম্বারের সঙ্গে শান্তিপুরের পাগলা গোস্বামী বাড়িতে পালিত হলো ভাঙা রাস উৎসব। পাগলা গোস্বামী পাড়া এবং নিউবর্ন ক্লাবের গোপাল পূজোর ২৫ বছরের পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বসন্ত উৎসব সহ নানান সামাজিক কর্মকাণ্ড। যার উদ্বোধন হয়েছে গতকাল। ২৫ বছর আগের উদ্যোক্তারা আজ প্রবীণ তারা জানাচ্ছেন সে সময় তারা কখনও ভাবতে পারেননি আজকের এই দিনটি পাড়ার বর্তমান প্রজন্মের উদ্যোক্তারা এত সাড়ম্বরে পালন করবে, এই আয়োজন দেখে তারাও আপ্লুত। তবে দুর্গা পুজোর অষ্টমীর মতন বাড়ির গৃহিণীদের রান্না বন্ধ এই তিন দিন রাতে চলবে এক হাঁড়িতে একসঙ্গে বসে পাত পেড়ে খাওয়া।
১২ মাসের ১৩ পার্বণের বহু প্রাচীন শহর শান্তিপুর। ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পূজার মতন এখানে শ্রীকৃষ্ণের ছোটবেলার রূপ গোপাল পূজিত হন। উচ্চতায় কোথাও ১৫ ফুট কোথাও ২৫ ফুটের গোপাল পর্যন্ত দেখা যায়। এমনকি বেশকিছু জায়গার নামও বড় মেজ সেজ এ ধরনের গোপাল কেন্দ্রিক। এমনকি দোল উৎসব পর্যন্ত শুধু একদিন নয় চলে প্রায় এক পক্ষ কাল ধরে। তবে বিভিন্ন পাড়া বাড়িতে বাড়িতে পুজো হলেও শান্তিপুরে গোপাল পুজো নিয়ে এত আড়ম্বরতা বোধহয় ইদানিংকালের মধ্যে শান্তিপুরে এই প্রথম। যেহেতু ধর্মীয় এবং ইতিহাস প্রসিদ্ধ পাগলা গোস্বামী বাড়ির নাট মন্দিরে এবং সেই এলাকার মানুষজন এই আয়োজন করছেন তাই এখানকার পুজোও ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে। গোপালের ভোগের ক্ষেত্রেও শুদ্ধ বস্ত্রে সুদ্ধাচারে মন্দিরে ২৫ রকম মিষ্টান্ন প্রস্তুত করেছেন উদ্যোক্তারা।