হাতেখড়ি দেওয়ার প্রচলিত রীতি হচ্ছে সরস্বতী পুজোর দিন। অথচ শাস্ত্র মতে এই দিন বই খাতা ধরতে নেই। পড়াশুনা বন্ধ থাকে। শাস্ত্রজ্ঞরা জানান, হাতেখড়িই হল বিদ্যালাভের প্রথম ধাপ। বাগদেবীর সামনে পুজো করে ঠাকুরমশাই নিজে হাতেখড়ি দেন শিশুদের।
মনে করা হয়, দেবী সরস্বতীর সামনে বিদ্যার পথে চলা শুরু করলে তা সন্তানের উপর শুভ প্রভাব ফেলে। এতে ভবিষ্যতে সন্তানের বিদ্যার পথ সুগম হয়। যদিও শাস্ত্রজ্ঞদের কারও কারও মত, সরস্বতী পুজো মানেই যে সেই দিনটি হাতেখড়ি দেওয়ার যোগ্য এমনটা কিন্তু নয়। সাধারণ ভাবে ওই দিনটিকে শুভ বলে ধরে নেওয়া হলেও, কিছু ক্ষেত্রে সবার জন্য তা শুভ নাও হতে পারে। তাই শিশুটির গ্রহ-নক্ষত্র দেখে নিয়ে সেই অনুসারে হাতেখড়ির দিন স্থির করুন।
যে যাই বলুন, প্রতি বছর সরস্বতী পুজোর দিনই দেবি প্রতিমার সামনে হাজার হাজার শিশুকে হাতেখড়ি দেওয়া হয়। সরস্বতী (Saraswati) পুজোর দিনে ছোট বাচ্চাদের হাতেখড়ি দেওয়া হয়। এই দিন থেকেই শুরু হয়, বিদ্যার পথে চলার। আগে ৫ বছরে হাতেখড়ি হত (Saraswati Puja) শিশুদের। কিন্তু এখন সময় পালটেছে, দুই থেকে আড়াই বছর হলেই শুরু হয় স্কুলে যাওয়া। তাই বাবা-মায়েরাও চান তাড়াতাড়ি হাতেখড়িটা করিয়ে নিতে।