www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 20, 2025 6:59 pm

সংখ্যার বিচারে ভারতে হিন্দুর পরেই ইসলাম ধর্মের স্থান। ভারতের ইতিহাসে নানা ভাঙা-গড়ার মধ্যে ইসলাম ধর্মের বিশেষ ভূমিকা আছে। ইসলাম ধর্মের মানুষদের আরাধনার জায়গা হলো মসজিদ।

সংখ্যার বিচারে ভারতে হিন্দুর পরেই ইসলাম ধর্মের স্থান। ভারতের ইতিহাসে নানা ভাঙা-গড়ার মধ্যে ইসলাম ধর্মের বিশেষ ভূমিকা আছে। ইসলাম ধর্মের মানুষদের আরাধনার জায়গা হলো মসজিদ। ভারতে অজস্র মসজিদ আছে। তারমধ্যে অন্যতম একটি মসজিদ হলো দিল্লির জামা মসজিদ। মুঘল  সম্রাট শাহজাহান ১৬৪৪ থেকে ১৬৫৬ সালের মধ্যে মুঘল রাজধানী, শাহজাহানাবাদে এই মসজিদটি তৈরি করেন। মসজিদটির প্রথম ইমাম সৈয়দ আব্দুল গফুর শাহ বুখারী মসজিদটির উদ্ভোধন করেন। ১৮৫৭ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের পতন পর্যন্ত এটি ছিল সাম্রাজ্যের প্রধান মসজিদ। মসজিদটি ভারতে ইসলামিক শক্তি এবং ঔপনিবেশিক শাসনে প্রবেশের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত ছিল। সারা বছর প্রচুর ধর্মপ্রাণ মানুষ এই মসজিদ দর্শনে যান।

ব্রিটিশ শাসনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এটি রাজনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি এখনও চালু আছে এবং এটি দিল্লির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর একটি, যা যার পরিচিতি পুরান দিল্লির সাথে মিশে আছে। মসজিদটির দুটি নাম রয়েছে। প্রথম নামটি শাহজাহান প্রদত্ত নামটি ছিল “মসজিদ-ই- জাহাননামা”, যা অনুবাদ করলে ফার্সি ও উর্দু ভাষায় “পৃথিবীর প্রতিবিম্ব মসজিদ”। এর আরেক নাম হলো জামে মসজিদ, যা সাধারণ মানুষের কাছে প্রচলিত। আরবিতে এর প্রকৃত অর্ত “জামে মসজিদ”। মসজিদটিতে জুম্মার নামায অনুষ্ঠিত হয়, তাই এটিকে জামে মসজিদ বলা হয়। মসজিদটির নকশা করেন স্থপতি, উস্তব খলিল এবং এর নির্মাণে প্রায় ৫০০০ জন শ্রমিক কাজ করেন।এ নিমার্ণে তুর্কি, আরব, পারস্য এবং ইউরোপ সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ কাজ করেন। এ নির্মানের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন শাহজাহান এর উজির (বা প্রধান মন্ত্রী), সাদুল্লাহ খান এবং শাহজাহান এর পরিবারের হিসাবাধ্যক্ষ, ফজিল খান। 
বর্তমানে, মসজিদটিকে দিল্লির প্রধান মসজিদ হিসেবে ব্যবহার হয় এবং সেখানে অনেক ধর্মীয় কর্মসূচী মসজিদটিতে পালনা করা হয়ে থাকে। শহরে বসবাসকারী মুসলিমরা জুম্মা এবং দুই ঈদে মসজিদটিতে একত্রিত হন। মসজিদটি পর্যটকদেরও মনযোগ আকর্ষণ করে এবং বিদেশীদের সেখানে ভ্রমণের ফলে একটি বড় পরিমাণ অর্থ আয় হয়।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *