শ্মশান কালী দশমহাবিদ্যার প্রথম বিদ্যা কালী বা কালিকার এক রূপ। শাস্ত্র মতে দেবী কালিকা ব্রহ্মময়ী। তিনি নিরাকার ও সাকারও উভয় রূপেই অবস্থান করেন। কালী বিষয়ক আলোচনা ও পূজার আচার বা বিদ্যাকে মহাবিদ্যা বলা হয়। মা কালীর ধ্যান বর্ণিত স্থূল রূপ একটি রূপক মাত্র। শ্মশান কালীর ধ্যানবর্ণিত রূপ হল এই প্রকাশ, ‘এই দেবী অঞ্জন পর্বতের ন্যায় কৃষ্ণবর্ণ শুস্ক শরীরবিশিষ্টা। রক্তিমাভ চক্ষু বিশিষ্টা। এঁর কেশ আলুলায়িত। এই দেবীর ডান হাতে সদ্য ছিন্ন নরমুণ্ড ও বাম হাতে আসবপূর্ণ নরমুণ্ড নির্মিত পানপাত্র। দেবী সর্বদা ক্ষুৎ পিপাসান্বিত ও শবরূপী সদাশিবের উপর দন্ডায়মানা। কপালে অর্ধচন্দ্র শোভিতা।’কিন্তু এই পুজো করার নানারকম আচার আছে। সাধারণত বাড়িতে যে কালী পুজো করা হয়, তাঁকে বলা হয় রক্ষা কালী বা শ্যামা কালী। সাধারণত বাড়িতে শ্মশান কালী পুজো করা উচিত না। শ্মশানেই শ্মশানেই এই কালীর রূপ পুজো করা উচিত।
এই শ্মশান কালীর পূজা তান্ত্রিকগণ মৎস ,মাংস আর মদ্য উপাচার দ্বারা পূজা করে থাকেন। শ্মশান কালীর পূজায় অন্যান্য সবকিছু দক্ষিণা কালিকা পূজার অনুরূপ। পূজা যন্ত্রে সামান্য কিছু প্রভেদ বর্তমান।বীজমন্ত্র দক্ষিণা কালিকার মন্ত্র হতে ভিন্ন। তবে মা কালীর মূল বীজ যে কোন রূপভেদেও এক ও অভিন্ন। আমরা দক্ষিণাকালী, রক্ষাকালী, শ্যামাকালীর রূপ দেখে অভ্যস্ত সাধারণত পূজায়। তবে শ্মশান কালীর সাধনা করেন তন্ত্রসাধক শ্মশানবাসীরা।