চৈত্র মাস শেষ, শুরু হয়েছে বৈশাখ মাস। এই মাস আমাদের কাছে খুবই শুভ। হিন্দু ধর্মের বহু শুভ কাজ বৈশাখ মাসে হয়। এই মাসেই অক্ষয় তৃতীয়ার মতন বিশেষ উৎসব পালিত হয়। বৈশাখ মাস শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় খরমাস।
- গঙ্গাস্নান করা শুভ – খরমাসে কোনও শুভ কাজ করা যায় না। এই ক্ষেত্রে এই মাসকে মলমাস বলা হয় এবং বৈশাখ মাস থেকে ফের শুভ কাজ করা হয়। এই মাসে গঙ্গাস্নান কিংবা দান কিংবা উপোস করে ভগবানের পুজো করলে জীবনে সফলতা লেগে থাকে।
- কোন কাজ করবেন, কী করবেন না – এই বৈশাখ মাসে ভগবান বিষ্ণুর বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। বলা হয় ভগবান বিষ্ণু যদি খুশি থাকেন তাহলে আপনার জীবনের সফলতা নিশ্চিত। তবে বৈশাখ মাসে এমন অনেক কাজ রয়েছে সেগুলি ভুলেও করবেন না। আবার এমন অনেক কাজ রয়েছে সেগুলি করলে আপনার জীবনের সফলতা আসবে। জানেন কী করবেন আর কী করবেন না আপনি।
- ঠাকুরঘরে এটি রাখুন
এদিন জল ভর্তি পাত্র আপনার ঠাকুরঘরে রাখুন। গরিব, অভাবী ব্যক্তিদের দান করুন। এতে আপনার জীবনের সফলতা আসবে। আর্থিকদিকেও খুব লাভ করতে পারবেন আপনি। - অনেকক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকবেন না
বৈশাখ মাসে অনেকক্ষণ বিছানায় শুয়ে থাকবেন না। সূর্যের আলো ফোটার আগেই বিছানা থেকে ওঠা খুব ভালো। এতে আপনার জীবনে সফলতা আসবে। - তীর্থযাত্রায় যান
আর্থিক সঙ্কট কাটাতে বৈশাখ মাসে আপনি কিন্তু তীর্থযাত্রায় যেতে পারেন। সেইসঙ্গে আপনি যদি গঙ্গা কিংবা নদীতে স্নান করেন, তাহলে আপনার জীবনে সুখ লেগে থাকবে। - অভাবী ব্যক্তিকে দান করুন –
এই মাস কিন্তু গরমের সময়। তাই এই সময় অভাবী ব্যক্তিকে জুতো, কিংবা ছাতা দান করতে পারেন। এতে দেখবেন আপনার দ্রুতই সম্পদ বৃদ্ধি হবে। এতে মা লক্ষ্মী ভীষণ খুশি হন। - বাসি ঘর রাখবেন না –
ভুল করেও বেশিক্ষণ ঘুমাবেন না। আর সূর্য ওঠার আগেই ঘুম থেকে উঠুন। তারপরে স্নান সেরে নিন বাসি ঘর রাখবেন না। - নিরামিষ খাবার খাওয়া ভালো
বৈশাখ মাসে খাবার দাবার দিকেও বিশেষ নজর রাখবেন। যেহেতু ওই সময়ে গরমকাল তাই প্রচুর জল খাবেন। তৈলাক্ত, মশলাদার খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এই সময় আমিষ খাওয়ার থেকে নিরামিষ খাওয়াই বেশি ভালো।