হিন্দু ধর্মের মানুষদের কাছে কার্তিক পূর্ণিমা খুবই পবিত্র। আগামী ১৫ নভেম্বর কার্তিক পূর্ণিমা। সেই দিন নিজেকে শুদ্ধ করে দেবতার পায়ে নিজেকে সমর্পন করুন। এই দিন যারা নদী বা গঙ্গায় স্নান করেন ও দরিদ্র ব্যক্তিদের দান করে, পুজো করেন, তাদের জীবনে সাফল্য লেগেই থাকে। কার্তিক পূর্ণিমার পুজোর সময় অবশ্যই এগুলি মেনে চলুন, এতে আপনার জীবনে সফলতা আসবে। এই শুভদিনে ভক্তরা নদীতে বা গঙ্গা স্নান করুন। তাহলেই আপনার জীবনে শুভ সময় শুরু হবে। সেই সঙ্গে সত্যনারায়ণের পুজো দিন। উপোস করে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা অত্যন্ত শুভ। সেই সঙ্গে বাড়িতে ভগবান শিবের পুজো করুন এবং যজ্ঞ করুন।
জ্যোতিষ মতে এইদিন –
১) গঙ্গার ঘাটে যদি পারেন প্রদীপ দেবেন। তবে মাটির প্রদীপ জ্বালাবেন। এটি অত্যন্ত শুভ। এতে আপনার মনের বাসনাও আপনার পূরণ হবে। সেই সঙ্গে ভগবান বিষ্ণু ও ভগবান শিবের মন্ত্র জপ করা আপনার জন্য শুভ হবে।
২) এই কার্তিক পূর্ণিমায় গীতা, রামায়ণ পড়া অত্যন্ত শুভ। এই সময়ে অবশ্যই সন্ধ্যার সময় চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করবেন। এবং এতে আপনার জীবনের সফলতা আসবে। জীবনে সুখী হবেন।
৩) কার্তিক মাসের পূর্ণিমা শুরু হচ্ছে ১৫ নভেম্বর সকাল ৬ টা ১৯ উনিশ মিনিট থেকে। যা চলবে ১৬ নভেম্বর ২ টো ৫৮ মিনিট পর্যন্ত। এসময় আপনি যদি দারিদ্র ব্যাক্তিদের দান করেন কিংবা নদীতে স্নান করেন, তাহলে আপনার আর্থিক দিকে খুব লাভ হবে।
৪) এই বিশেষ দিনে আপনি দারিদ্র ব্যক্তিদের আটা, চাল, গম, ময়দা ইত্যাদি দান করুন। এতে আপনার আর্থিক দিকে খুব লাভ হবে। এমনকি জীবনে সাফল্যের সময়ও শুরু হবে আপনার।
৫) যদি আপনি বিবাহিত জীবনে সুখী হতে চান, তাহলে অবশ্যই এসময় দারিদ্র ব্যক্তিদের রুপোর কোনও জিনিস দান করুন। এতে আপনার জীবনে সুখ লেগে থাকবে।
৬) বন্ধ ভাগ্যের দরজা খুলতে কার্তিক পূর্ণিমার দিন আপনি একটা কড়ি, একটা হলুদ কাপড়, যেকোনও বস্ত্র, মিষ্টি কোনও ব্যক্তিকে দান করার চেষ্টা করুন।