প্রাচীন ভারতের অন্যতম অর্থনীতিবিন চাণক্য কিন্তু প্রচুর ধর্ম উপদেশ দিয়েছেন, যা মেনে চললে মানুষের জীবনে অবশ্যই সাফল্য আসবে। পরিবারের সকলে একসঙ্গে বেঁধে গোটা সংসারকে টেনে নিয়ে যাওয়া বর্তমান সময়ে আরও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার মধ্য মাথা ঠাণ্ডা রেখে সব কিছু পরিচালনা করা একজন গৃহকর্তা বা গৃহকর্ত্রীর স্পেশাল গুণ বলা যেতে পারে। জীবনেক অনেক সমস্যা সমাধান করা, সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য রেখে চালনা করা একপ্রকার চ্যালেঞ্জের সমান। তবে চাণক্য নীতিতে জীবনে সাফল্য অর্জন. ধর্ম, অধর্ম, কর্ম, পাপ ও পুণ্য অনেক বিষয়ে যেমন উল্লেখ রয়েছে, তেমনি সংসার জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বজায় থাকে, তারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চাণক্য বলেছেন-
১। আচার্য চাণক্যের মতে, বাড়ির প্রধানকে বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান হতে হবে। এছাড়া পরিবারের চাহিদার কথা মাথায় রেখে অর্থ ব্যয় সীমিত রাখা উচিত। এ ছাড়া পরিবারের সদস্যদের অযথা খরচও বন্ধ করা উচিত। এর মাধ্যমে, পরিবার দ্রুত উন্নতি হয় ও ভবিষ্যতের জন্য সম্পদ সঞ্চয় করাটাও আরও সহজ হয়ে যায়।
২। পরিবারে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারেন একমাত্র বাড়ির প্রধান। শৃঙ্খলা মানুষকে আরও সংযত রাখতে সাহায্য করে। তাই বাড়ির শৃঙ্খলা বজায় রাখলে যে কোনও কাজে সফল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এর মাধ্যমে বাড়ির সদস্যরা জীবনে উন্নতি করতে সক্ষম হয়।
৩।পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাথা কখনওই বৈষম্য করা উচিত নয়। তার থেকে বরং সকলের মধ্যে একই চেতনা থাকা উচিত। তাতে সকলের জন্য সমান নিয়ম-কানুন তৈরি করা উচিত।
৪। চাণক্য নীতি অনুসারে, যেকোনও পরিস্থিতিতে সঠিক ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে একজন গৃহকর্তা বা গৃহকর্ত্রীর। কারণ পরিবারের প্রধানের নেওয়া সিদ্ধান্তগুলিই পরিবারের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেই সিদ্ধান্ত যেন কারওর কাছে ক্ষতিকর হয়ে না ওঠে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।