মন্দির সংস্কার এর জন্য আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তারাপীঠ এর মা তারার মন্দির এ মা তারাকে মূল গর্ভগৃহে থেকে বের করে রাখা হলো বাবা ভোলেনাথের শিব ঘরে,,বহুদিন ধরেই কোজাগরী লক্ষ্মী (Laxmi Puja) পুজোর আগে শুক্লা চুতর্দশী তিথিতে মায়ের আবির্ভাব তিথি পালিত হয়ে আসছে তারাপীঠে ৷
এই বিশেষ দিনে মা তারাকে পুজো দিয়ে পূণ্য অর্জন করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ও ভিনরাজ্য থেকে ভিড় জমান ভক্তরা।পশ্চিমদিকে মা তারার ছোটবোন মলুটির মা মৌলিক্ষা মন্দির ৷ সূর্যোদয়ের পর তারা মা কে গর্ভগৃহে থেকে বের করে বিশ্রাম মন্দিরে আনা হবে ৷ তারা মা-কে স্নান করানোর পর রাজবেশে সাজানো হয় ৷ প্রত্যেকেই উপবাস থাকেন।

সন্ধ্যায় আরতির পর খিঁচুড়ি এবং পাঁচ রকম ভাজা দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয় ৷ সেই প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভাঙেন ভক্তেরা ৷ এর পর মাকে (Maa Tara) গর্ভগৃহে ফিরিয়ে এনে স্নান করিয়ে পুজো আরতি করা হয়।, এছাড়াও সোজা রথ এবং উল্টো রথে (RathJatra) মা তারা কে মূল গর্ভগৃহের বাইরে বের করা হয়।। তবে এবার মন্দির সংস্কারের জন্য মা তারা কে গর্ভ গৃহের বাইরে বের করে শিব মন্দির এ পূজার্চনা করা হচ্ছে।
তাছাড়া হাতে গোনা কয়েকদিন পর ভাদ্র মাসের কৌশিক অমাবস্যা (Koushiki Amavosya), গত বছর পুলিশ প্রশাসন সরকার মন্দির কমিটির তরফ থেকে কয়েক লক্ষ মানুষের আগমন হবে ভেবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন রকমের ( Spiritual) ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
তবে দর্শনার্থীদের একাংশের অভিযোগ ছিল মাত্রাতিরিক্ত হোটেল ভাড়ার ফলে দর্শনার্থীরা তারাপীঠ মন্দির আসেনি গত বছর আমাবস্যায় হাতে গোনা কয়েক হাজার মানুষের আগমন ঘটেছিল,, সেইজন্যে আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছিল তারাপীঠের (Tarapith) হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছোট এবং বড় মাঝারি বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।। তবে এই বছর কতটা মানুষের ভিড় হয় সেই দিকেই তাকিয়ে তারাপীঠ এলাকার মানুষজন।।
