‘বৃন্দাবন’ নয় কিন্তু ‘গুপ্ত বৃন্দাবন’! এই স্থাননামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এই জায়গার মহাত্ম। কলকাতার অদূরে বীরভূম জেলায় আছে একাধিক সতীপীঠ। আর সেই জেলাতেই আছে হিন্দু বৈষ্ণবদের আরেক পবিত্র ধর্মস্থান – গুপ্ত বৃন্দাবন। বীরভূমে জন্মেছিলেন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অন্যতম প্রধান অনুরাগী নিত্যানন্দ মহাপ্রভু জন্মেছিলেন বীরভূমের বীরচন্দ্র ধামে। যাকে একচাকা ধামও বলা হয়। কথিত আছে, মহাভারতের যুদ্ধের সময় শ্রীকৃষ্ণ যে চাকা ছুড়েছিলেন সেটি নাকি পড়েছিল এই বীরচন্দ্রপুরে। তাই একে এক চাকা ধাম বলে।সেকারণেই সেই সময় থেকে বীরচন্দ্রপুর নিয়ে ভক্তদের আনাগোনা ছিল। এখানে ইস্কনের একটি মন্দিরও রয়েছে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর অন্যতম শিষ্য নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর নাকি জন্ম হয়েছিল এই বীরচন্দ্রপুরে। সেকারণে এই জায়গাকে গুপ্ত বৃন্দাবনও বলা হয়ে থাকে। তারাপীঠের কাছাকাছি এমন একটি বৈষব ধর্মস্থান রয়েছে অনেকেই জানেন না সেকথা। মহাভারতের সেই কাহিনী বর্ণিত রয়েছে ইস্কনের মন্দিরে। বৈষ্ণবদের বিভিন্ন উৎসবে এখানে প্রচুর ভক্তের ভিড় হয়।
ইস্কনের সেই মন্দিরের সদর দরজাতেই রয়েছে শ্রীকৃষ্ণের সেই রথের চাকার একটি স্থাপত্য। যে রথের চাকা তুলে নিয়ে ভীষ্মকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন। মন্দিরের ভেতরে সেই দৃশ্যের চিত্রও রয়েছে। কাছেই রয়েছে নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর জন্মস্থান। ইস্কনের মন্দির থেকে টোটো করে যাওয়া যায়। নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর বাড়ির আগেই রয়েছে একটি কুণ্ড। সেই কুণ্ডেই নিত্যানন্দ মহাপ্রভু তাঁর মা বাবাকে গঙ্গাসাগর দর্শন করিয়েছিলেন। মন্দিরের মাঝে একটি মন্দিরের চূড়া দেখতে পাওয়া যায়। এই পুকুরের জল নাকি কোনও দিন কমে না। ভক্তপ্রাণ মানুষেরা এখানে সকালে হয়ে বিকেলে তারাপীঠ দেখে নিতে পারেন।