www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 20, 2025 1:55 pm

বাস্তবিক ১৯৪৭ সালের পরে বেশ ডামাডোলে কাটে বেশ কয়েকটা বছর। তারপরে আবার পাকিস্তানের সেই মন্দিরে পুজোপাঠ শুরু হয়।

বাস্তবিক ১৯৪৭ সালের পরে বেশ ডামাডোলে কাটে বেশ কয়েকটা বছর। তারপরে আবার পাকিস্তানের সেই মন্দিরে পুজোপাঠ শুরু হয়। কিন্তু মন্দিরের অবস্থা জীর্ণ হওয়ায় ১৯৬০ সালের পরে ওখানে পুজোপাঠ বন্ধ হয়ে যায়। এবার পাকিস্তান সরকারের আর্থিক সাহায্যে শুরু হতে চলেছে সংস্কারের কাজ। মন্দির নির্মাণে ইতিমধ্যেই প্রায় ১ কোটি পাকিস্তানি রুপি বরাদ্দ করেছে সরকার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার সমান। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে ইরাবতীর পশ্চিম তীরে নারওয়াল জেলার জাফরওয়াল শহর। সেখানেই রয়েছে ৬৪ বছর পুরনো ওই বাওলি সাহিবের মন্দির।

একটি বিশেষ ট্রাস্ট কমিটি গঠন করে চলেছে মন্দির সংস্কারের কাজ। ওই অঞ্চলে কোনো হিন্দু মন্দির না থাকায় হিন্দুদের ধর্ম পালনে খুবই অসুবিধা হচ্ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে গোটা নারওয়াল জেলায় একটিও হিন্দু মন্দির নেই। ফলে সে জেলার সংখ্যালঘু হিন্দুরা বাড়িতেই পূজার্চনা করেন। কেউ কেউ আবার উপাসনার জন্য বাধ্য হয়ে সুদূর শিয়ালকোট কিংবা লাহোরের মন্দিরে যান। এই পরিস্থিতির জন্য অবশ্য ইটিপিবিকেই দায়ী করছেন পাক ধর্মস্থান কমিটির প্রাক্তন সভাপতি রতন লাল আর্য। তিনি বলছেন, ‘‘ইটিপিবির আওতায় আসার পরেই বাওলি সাহিব মন্দিরে পুজো বন্ধ হয়ে যায়। নারওয়ালে প্রায় ১,৪৫৩-রও বেশি হিন্দুর বাস। অথচ, সেই থেকে এত বছর ধরে গোটা জেলায় তাঁদের জন্য একটাও মন্দির নেই।’’ প্রসঙ্গত ইটিপিবির হাতেই দেওয়া হয়েছিল সমস্ত হিন্দু মন্দির জড়িপের কাজ। অনেক বছর পরে হলেও সেই মন্দির সংস্কার শুরু হওয়ায় খুশি পাকিস্তানের হিন্দু সমাজ।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *