‘গাছ’ শব্দটার সঙ্গে হিন্দু ধর্মের সম্পর্ক খুবই প্রাচীন। হিন্দুদের প্রায় সমস্ত পুজোতেই কিছু গাছ আপরিহার্য। তার মধ্যে অন্যতম অবশ্য ধান, তুলসী, বেল ইত্যাদি। কিন্তু এ ছাড়াও দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ গেছে সুতো বেঁধে বিভিন্ন প্রার্থনা করেন। হিন্দুধর্মে, বিভিন্ন গাছ ঈশ্বরের মতো পবিত্র ও পুজোর যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছে। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, এই গাছগুলিতে সমস্ত দেব-দেবী বাস করেন, যা পূজা করলে ব্যক্তির জীবনের সমস্ত ধরণের দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং তার মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। এমন বেশ কিছু গাছ আছে, যে গাছকে হিন্দুরা দেবতা রূপে পুজো করে। যেমন –
- আমলা – এই গাছকে হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। কারণ এর উৎপত্তি দেবী লক্ষ্মীর অশ্রু থেকে বলে মনে করা হয়। এতে ভগবান ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহাদেব বাস করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। এই গাছ পুজো করলে শ্রী হরির বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
- আমি – হিন্দু ধর্মে আম গাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই গাছের পাতা, কাঠ, ফল সবই পূজার কাজে লাগে, তাই এর ধর্মীয় গুরুত্ব রয়েছে অপরিসীম।
বাড়ির মূল দরজায় যদি আমের পাতা ও কদম ফুল দিয়ে তৈরি বনমালা লাগানো হয়, তাহলে সেই গৃহে কখনও দুঃখ-দুর্দশা প্রবেশ করতে পারে না। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান হনুমান আম খুব পছন্দ করেন। ৩) কলা – হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, একটি কলা গাছের পুজো করলে ভক্তরা ভগবান শ্রী বিষ্ণু, ভগবান সত্য নারায়ণ ও দেবগুরু বৃহস্পতির আশীর্বাদ লাভ করেন। যদি কারওর জীবনে সুখের ঘাটতি দেখা যায় বা বিবাহে বিলম্ব হয়, তাহলে প্রতিদিন একটি কলা গাছের পুজো করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। ৪) লজ্জাবতী – সনাতন ঐতিহ্যে শমী বা লজ্জাবতী গাছের অনেক ধর্মীয় ও জ্যোতিষশাস্ত্রীয় গুরুত্ব রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে বাড়িতে শমী গাছ থাকে, সেখানে কখনও শনির প্রভাব পড়ে না। শিবলিঙ্গে শমী পাতা নিবেদন করলে বেলপত্রের চেয়ে বহুগুণ বেশি শুভ ফল পাওয়া যায়। ৫) তুলসী – সাধারণত হিন্দুদের বাড়িতে তুলসী গাছ দেখা যায়। কারণ হিন্দু ধর্ম অনুসারে, রোজ তুলসী গাছ পুজো করলে গৃহ ও জীবনের সঙ্গে যাবতীয় কষ্ট দূর হয়ে যায়। বজায় থাকে সুখ ও সমৃদ্ধি। এই গাছ মানুষের পরম বন্ধু। এই গাছের নিচে বসেই le