আজ, শুক্রবার সারা ভারত জুড়ে পালিত হচ্ছে হোলি উৎসব। এই উৎসবের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত পুরানের রাধা-কৃষ্ণ প্রসঙ্গ। পৌরাণিক গাথা অনুযায়ী, ছোটবেলায় শ্রীকৃষ্ণ তাঁর মা যশোদার কাছে গিয়ে অভিযোগ করেছিলেন রাধার গায়ের রং উজ্জ্বল এবং তাঁর গায়ের রং কেন শ্যাম বর্ণ। তখন মা যশোদা তাঁকে শান্ত করার জন্য বলেন যে রাধাকে রং মাখিয়ে তাঁর মত শ্যাম বর্ণ করে দিতে। সেই কথা শুনে কৃষ্ণ তাঁর বন্ধু-বান্ধবকে সঙ্গে নিয়ে রাধা ও গোপিনীদের রং মাখাতে গেলে তাঁরা লাঠি নিয়ে কৃষ্ণ ও তাঁর সখাদের ভীষণ প্রহার করেন এবং ঠিক এরপর থেকেই এই লাঠমার হোলি খেলার প্রচলন হয়। শুধু লাঠমার হোলি নয় মথুরার বারসানা গ্রামে পালিত হয় লাড্ডু হোলিও। এখানে দেশ বিদেশ থেকে আসা অসংখ্য মানুষজন রাধারানী মন্দির প্রাঙ্গণে এই বিশেষ হোলিতে অংশগ্রহণ করে। ছোট ছোট প্যাকেটের মধ্যে আবিরের সঙ্গে হাজার হাজার টন লাড্ডু মিশিয়ে মন্দির প্রাঙ্গন থেকে তারা দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দেওয়া হয়। সেই লাড্ডুর প্যাকেট হাতে পেয়ে তারাও আবার একে অন্যের দিকে ছুঁড়ে দেয়। এইভাবে হোলি খেলার সূচনা করা। প্রায় দু’দিন ধরে এই উৎসব চলতে থাকে।
হোলি উৎসব পালন করা কিছু বিশেষ মন্দির –
• দ্বারকাধীশ মন্দির- ১৮১৪ সালে শেঠ গোকুল দাস এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন, যেখানে প্রত্যেক বছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে এই মন্দিরে ফুলের হোলি ও জন্মাষ্টমী উৎসব পালন করা হয়।
• রাধারানী মন্দির- মথুরার এই মন্দিরে অসংখ্য ভক্তদের মাঝে খেলা হয় লাড্ডু হোলি।
• মদনমোহন মন্দির- সম্প্রতি মন্দিরটি সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এখানেও দোল উৎসবের ঘনঘটা প্রবল।