একটা বা দুটো নয়, শতধিক বাইক চুরি করে খবরের শিরোনামে হুগলীর বাসুদেব।
হুগলির বলাগড়ের একতারপুর পঞ্চায়েতের মাজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব মণ্ডল। এছাড়াও বালুসা ওরফে রাজকুমার নামেও সে পরিচিত এলাকায়। এই ব্যক্তিই রীতিমতো ঘুম ছুটিয়ে রেখেছিল বিভিন্ন এলাকার পুলিশ কর্মীদের। বাসুদেবের কাজই ছিল বাইক চুরি করা। কেবল পেশা নয়, নেশাও হয়ে যায় এক বাইক চুরি। তার বাইক চুরির পদ্ধতিও ছিল যথেষ্ট অভিনব। যার বাইক চুরি করা হত, তাঁর সঙ্গেই আলাপ জমাত এই ব্যক্তি। স্বভাবসিদ্ধ বাচন ক্ষমতার জেরে বাসুদেবকে বিশ্বাসও করে নিতেন তাঁরা। আর সেই সুযোগ নিয়েই ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা বাইক নিয়ে চম্পট দিত সে। বার বার পুলিশে কমপ্লেন করেও চোর ধরা পরে নি।
হুগলী, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান জেলার একাধিক জেলায় চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে সে। সেই ব্যক্তিই এখন শ্রীঘরে। ধৃতের কাণ্ডকারখানা শুনে হতবাক হয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরাও। তদন্তকারীরা ওই ধৃতকে নিয়ে চুরি হওয়া বাইক উদ্ধারে নেমেছে। সোমবার হুগলির বলাগড় থানার পুলিশ আধিকারিকরা ধৃতকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চুরি হওয়া ছ’টি বাইক উদ্ধার করেছে। বিভিন্ন জেলায় ঘুরে সে এই বাইক চুরি করত। কিছুদিন গা ঢাকা দেওয়া। তারপর আবার নতুন ‘অপারেশন’। বিভিন্ন থানায় একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। ধরন দেখে পুলিশ আধিকারিকরা বুঝতে পারেন, এসব চুরি একজনেরই কাজ। চেহারার আদল দেখে পুলিশ পরিচয়ও বার করে ফেলেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাসুদেবের টিকি পাওয়া যাচ্ছিল না। বিভিন্ন থানায় অভিযোগ ১০০ পেরিয়ে যায় বলে খবর। অনেক থানাতেই তাঁর ছবিও ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিল। সেই ব্যক্তিই হুগলির শ্যাওড়াফুলি স্টেশনে একটি মারামারির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়। আর তারপরেই সমস্ত ঘটনা সামনে আসে।