আজ সারা বিশ্বে একতরফাভাবে মিথ্যা অপবাদ ও গালি দেওয়া হচ্ছে ফাঁদ পেতে বা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। মুসলমানরা একে অপরের সঙ্গে দেখা বা সাক্ষাৎ হলে প্রথমেই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সালামের মাধ্যমে অর্থাৎ একে অপরের শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করে। মোয়াজ্জিনের সুমধুর, সুললিত লালিত্যময়, জলদ গম্ভীর আজানের ধ্বনি শুনে মসজিদে গিয়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পর তা শেষ করে ডানে ও বামে সালাম (শান্তি) প্রতিষ্ঠা ঘোষণার মাধ্যমে। মোনাজাতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে প্রথমে দুনিয়া ও পরে আখিরাতের মুক্তির মাধ্যমে। শুধু জীবিত মানুষদেরই জন্য নয়, মৃত ব্যক্তিদের জন্য কবরস্থান জিয়ারত করতে গিয়েও মৃত ব্যক্তিদের প্রথমে সালাম দেওয়া হয়। কি গভীর শিক্ষা ইসলামের।
মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিষ্ঠা করাই হলো ইমানদার বা নবী (সা.)-এর অনুসারীদের পবিত্র কাজ। মানুষ কেন নিজেকে ধ্বংস করবে, সমাজের ক্ষতি করবে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে। মানুষের জন্মের পূর্ব থেকেই পিতাণ্ডমাতাই আর্থিক ব্যয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব ও কর্তব্য তার ওপর বর্তায়। এই ঋণ তাকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে শোধ করতে হবে। নিজেকে ধ্বংস করে নয়, অন্যকে ধ্বংস করে নয়। শান্তির মাধ্যমেই আল্লাহর বাণী প্রচার করতে হবে।