ওড়িশার তথা ভারতের অন্যতম প্রাচীন মন্দিরগুলোর মধ্যে অন্যতন হলো ওড়িশার লিঙ্গরাজ মন্দির। ওডিশার ভুবনেশ্বরের এই মন্দিরে দেবাদিদেব মহাদেবের অধিষ্ঠান। এই দেবালয়ের কারুকার্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তো বটেই, বিদেশিদেরও অন্যতম প্রধান আকর্ষণ।
লিঙ্গরাজ মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক অদ্ভুত ইতিহাস। সংস্কৃতি পুঁথি অনুযায়ী, খ্রীষ্টীয় ষষ্ঠ থেকে একাদশ শতাব্দীর মধ্যে পর্যায়ক্রমে নির্মাণ করা হয় সুবিশাল এই মন্দির। এই দেবালয়ের সঙ্গে কলিঙ্গ স্থাপত্য মিল রয়েছে। উল্লেখ্য, ভুবনেশ্বরের সবচেয়ে বড় মন্দির হল লিঙ্গরাজ। অনেক ঐতিহাসিকের দাবি, এই মন্দির তৈরি করেন ললাট ইন্দু কেশরি। ৬১৫ থেকে ৬৫৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত ওডিশার শাসক ছিলেন তিনি। তবে এই দেবালয়ের নাটমন্দির ও দু’টি গম্বুজ দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি করা হয়েছিল বলে অনুমান।
ওডিশার গঙ্গা রাজারা নিয়মিত এই মন্দিরে পুজো দিতেন বলে জানা গিয়েছে। লিঙ্গরাজ শব্দটির অর্থ হল লিঙ্গের রাজা। এই মন্দিরে পুজো পান হরিহর। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, তিনি একাধারে সৃষ্টির পালনকর্তা বিষ্ণু ও ধ্বংসকর্তা শিব। লিঙ্গরাজ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বিন্দুসাগর সরোবর। বিশাল এই জলাধারকেও নিয়েও রয়েছে একাধিক জনশ্রুতি। স্থানীয়দের বিশ্বাস, ভারতের মূল নদীগুলির জল রয়েছে এই সরোবরে। অনেকের আবার বিশ্বাস মন্দিরের নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে একটি নদী। যা বিন্দুসাগরে এসে পড়েছে। এই মন্দিরে স্নান করলে রোগ-ব্যধি দূর হয় বলেও বিশ্বাস করেন বহু মানুষ।