একদম দক্ষিণেশ্বরের আদলে তৈরী মা আনন্দময়ীর মন্দির। দক্ষিণেশ্বরের উল্টো দিকে গঙ্গার বিপরীত পারে জগৎনগর গ্রামে মা আনন্দময়ীর মন্দির। হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইন শাখায় মির্জাপুর-বাঁকিপুর স্টেশনে নেমে দশ মিনিটের পায়ে হাঁটা পথ ধরে আসলেই জগৎনগর গ্রাম। রয়েছে মা আনন্দময়ীর এই কালীমন্দির। সারা বছর ধরে চলে মায়ের পুজো। কালীপুজোর দিন চার প্রহরে বিশেষ পুজো হয়। জেলা-সহ বাইরে থেকে প্রচুর ভক্ত উপস্থিত হয় এই কালীপুজোর দিনে। আজ কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে ওই মন্দিরে। সারা রাত জেগে তাঁরা মায়ের পুজো দেখবেন। পুজোর শেষে সকলেই পাবেন প্রসাদ।
কথিত আছে প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে এক কালী সাধক কানা নদী নামে পরিচিত গঙ্গার এক খালের পারে জঙ্গলের মধ্যে ছোট্ট ঘর বানিয়ে মা আনন্দময়ীকে প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন। তারপরে কালের নিয়মে নগরায়ন হয়। মানুষের ভিড় বাড়ে। আর বহু মানুষের অংশগ্রহনে সেই মন্দিরে আজ রাতে হবে লোকেরন্য। এরপর বাংলার ১২৯৪ সালে গ্রামের ব্যবসায়ী কৈলাস দত্ত মায়ের একটা ছোট মন্দির প্রতিষ্ঠা করে বেনারস থেকে অষ্টধাতুর মূর্তি এনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য চন্দননগরের জমিদার ‘সরকার’রা জমি দান করেছিলেন। তারপরে ২০০৬ সালে ভক্তদের দানে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে প্রায় ৬৫ ফুট উঁচু এই মন্দির তৈরী করা হয়। শুধুই ওই এলাকা নয়, বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ওখানে পুজো দিতে আসবেন আজ।