www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 19, 2025 7:16 pm

মহাভারত প্রাচীন যুগের সমস্ত ভারতের দর্পন। তাই বলা হয়, যা নেই ভারতে, তা নেই মহাভারতে। সেই মহাভারত বিশ্বের শুধু আদি সাহিত্য নয়, প্রাচীন এক মহাকাব্য

মহাভারত প্রাচীন যুগের সমস্ত ভারতের দর্পন। তাই বলা হয়, যা নেই ভারতে, তা নেই মহাভারতে। সেই মহাভারত বিশ্বের শুধু আদি সাহিত্য নয়, প্রাচীন এক মহাকাব্য। রামায়নের পরেই লেখা হয় মহাভারত। আজ আমরা মহাভারতের এমন কিছু তথ্য সামনে আনছি যা হয়তো অনেকের জানা নাও থাকতে পারে।

১। মহাভারত বিশ্বের বৃহত্তম মহাকাব্য। এত দীর্ঘ মহাকাব্য এবং এত বেশি সংখ্যক চরিত্রের সন্নিবেশ বিশ্বের আর কোনও মহাকাব্যে নেই।
 
২। মহাভারতের স্রষ্টা, পরাশর-সত্যবতীর ছেলে এবং শুকদেবের বাবা, মহর্ষি কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস। তিনি মূল মহাভারত রচনা করেছিলেন সংস্কৃত বা দেবভাষায়।
 
৩। মহাভারতের শ্লোক সংখ্যা এক লক্ষ।
 
৪। মূল সংস্কৃত থেকে ব্যাসদেবের মহাভারতের অবিকৃত বাংলা অনুবাদ প্রথম করেন মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ। এ বিষয়ে তাঁকে সাহায্য করেন পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সহ বহু দেশখ্যাত বিদগ্ধ জ্ঞানীজনেরা।
 
৫। কাশীরাম দাস পয়ারাদি ছন্দে যে বাংলা মহাভারত লেখেন, তা মূলত ব্যাসদেবের মহাভারতের ওপর নির্ভরশীল হলেও তা কখনই ব্যাসদেবের মহাভারতের আক্ষরিক বঙ্গানুবাদ নয়। তিনি তাঁর নিজের মতো করেই লিখেছেন সে মহাভারত।

৬। প্রাচীনত্বের দিক থেকে বিশ্বের আদি কাব্য মহর্ষি বাল্মীকি রচিত রামায়ণের পরেই মহর্ষি ব্যাসদেব রচিত মহাভারতের স্থান।
 
৭। প্রাচীনপন্থীদের মতে মহাভারতের রচনাকাল খ্রিস্টের জন্মের তিন হাজার বছর আগে।

৮। আঠের পর্বে বিভক্ত লক্ষশ্লোকী মহাভারত। পর্বগুলো হল:
১। আদি, ২। সভা, ৩। বন, ৪। বিরাট, ৫। উদ্যোগ, ৬। ভীষ্ম, ৭। দ্রোণ, ৮। কর্ণ, ৯। শল্য, ১০। সৌপ্তিক, ১১। স্ত্রী, ১২। শান্তি, ১৩। অনুশাসন, ১৪। অশ্বমেধ, ১৫। আশ্রমবাসিক, ১৬। মুষল, ১৭। মহাপ্রস্থান আর সর্বশেষ ১৮। স্বর্গারোহণ।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *