‘নাড়ু’ বলতে প্রথমেই মনে পরে নারকেলের নাড়ুর কথা। তাছাড়াও বেশ কয়েক রকমের নাড়ু এখন বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু তাই বলে মহুয়া ফুলের নাড়ু? শুনেছেন কখনো এমন কথা! তাই কিন্তু বিক্রি হচ্ছে ব্যারাকপুরে। মহুয়া শুনলেই হয়তো নেশার পানীয়র কথা মনে আসে। কিন্তু এই নাড়ু খেলে নাকি নেশা হয় না। উল্টে পুষ্টিগুণে ভরপুর। গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই পুষ্টিকর। বিক্রেতারা বলছেন, মহুয়া ফুলে নাকি প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রামের মানুষের খাদ্য তালিকায় মহুয়া ফুলের ব্যবহার থাকে। আর সেখান থেকেই মহুয়া ফুল কিনে এনে বাড়িতে তৈরী হচ্ছে মহুয়া ফুলের নাড়ু।
ব্যারাকপুরে একটি ফুলের ফার্ম আছে অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের। সেই সিরজন ফার্মের অরিত্র মুখোপাধ্যায় বলেন, মহুয়া গাছ বা ফুলের প্রচুর গুণ রয়েছে। মহুয়ার ফুল থেকে বিভিন্ন খাবার তৈরি হয়। প্রচুর আয়রণ রয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের গর্ভবতী মহিলাদের কাছে এই ফুল খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস। কারণ, এই ফুলের মধ্যে থাকে প্রচুর আয়রণও। অরিত্র জানান, মহুয়া ফুলকে শুকিয়ে গুঁড়ো করে এর সঙ্গে বাদাম, তিল, মুগডাল, চালগুড়ি এবং ঘি ভাল করে মিশিয়ে তৈরি করা হয়। এতে কোনও ধরনের মিষ্টি ব্যবহার করা হয় না