পাকিস্তানের অবস্থা অনেকটা বর্তমান বাংলাদেশের মতো। নৈরাজ্যের চূড়ান্ত। ইসলামাবাদে অবস্থিত একটা কল সেন্টার অবৈধ বলে অভিযোগ পাকিস্তান পুলিশের। তারপরেই ঘটে গেলো লুঠের রাজত্ব। ইসলামাবাদের সেক্টর-১১’এ অবস্থিত কলসেন্টারটি। অভিযোগ, ওই কল সেন্টার থেকে প্রতারণার ফাঁদ পাতা হত। চিনের নাগরিকরা ওই কল সেন্টার চালাতেন। কলসেন্টারটি অবৈধভাবে চালানো হত বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি(FIA) ওই কলসেন্টারে হানা দেয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় মানুষজন ওই কলসেন্টারের সামনে ভিড় করেন। এফআইএ আধিকারিকরা ওই কলসেন্টারে ঢোকার পর স্থানীয় মানুষজনও হুড়মুড় করে ঢুকে পড়েন। তারপরই জিনিসপত্র লুঠ শুরু হয়। চূড়ান্ত নৈরাজ্যের ছবি সামনে এসেছে।
তারপরই জিনিসপত্র লুঠ শুরু হয়। সেই লুঠের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন একজন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কলসেন্টার থেকে ল্যাপটপ, মনিটর, ডেস্কটপ নিয়ে কলসেন্টার থেকে বেরিয়ে আসছেন সবাই। কী বোর্ডও ফেলে আসেনি। এমনকি, কেউ কেউ ওই কলসেন্টারের ফার্নিচারও নিয়ে যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়েছে। পাকিস্তানে এমন লুঠের ঘটনা নতুন নয় বলেও অনেকে বলছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সদ্য চালু হওয়া একটি মলে কয়েকশো মানুষ ঢুকে পোশাক লুঠ করে পালিয়েছিল। এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, ভুয়ো ওই কলসেন্টারে হানা দিয়ে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। তল্লাশির সময় কয়েকজন পালিয়েও যান বলে পুলিশ জানিয়েছে।