একেই বলে ঠেকায় পড়লে গোরুও গাছে ওঠে। ফিলিপন্স সরকারের অবস্থা অনেকটা তাই। ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশা বাহিত রোগে বিপর্যস্ত ওই দেশ।
সেদেশে থাবা বসিয়েছে ডেঙ্গু। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে নানা প্রচার করা হচ্ছে। এবার ডেঙ্গুর বিস্তার রুখতে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিবিসি সূত্রে খবর, ফিলিপিন্সের বারাঙ্গে অ্যাডিশনাল হিলসের গ্রাম প্রধান কারলিটো কার্নাল জানান, কেউ যদি পাঁচটি মশা জীবিত কিংবা মৃত জমা দিতে পারেন তাহলে তিনি এক পেসো (ফিলিপিন্সের মুদ্রা) পুরস্কার পাবেন। মশার লার্ভা জমা দিলেও মিলবে পুরস্কার। পরে অতিবেগুনি রশ্মি ব্যবহার করে জীবিত মশা ও লার্ভা নির্মূল করা হবে। তবে এটা প্রচারের একটা প্রতীক। ওরা সকলে মিলে চেষ্টা করছে ওখান থেকে মশাকে নির্মূল করতে।
মানুষের সচেতনতা বাড়ানোর উপর ওরা গুরুত্ব দিয়েছে। জমা জলে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা দ্রুত বংশবিস্তার করে। তাই কোথাও যাতে জল না জমে সেদিকেও নজর রাখতে হবে। এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। এনিয়ে তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্যের জন্য এটা প্রয়োজনীয়। গত কয়েকদিনে ব্যাপক মাত্রায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ৪৪ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগেই ওই এলাকায় ডেঙ্গুতে দুই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফিলিপিন্সের স্বাস্থ্য দপ্তর সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়তে স্থানীয় প্রশাসনের সদিচ্ছা প্রশংসনীয়। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ফিলিপিন্সে ২৮ হাজার ২৩৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যাটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।