হিন্দু ধর্মে বজরংবলি বা ভগবান হনুমানের বিশেষ গুরুত্ব আছে। মঙ্গলবারকে বলা হয় ভগবান হনুমানের দিন। ওইদিন আপনি শুরু করতে পারেন হনুমান চলিশা পাঠ। বিশ্বাস সঠিক ভাবে হনুমান চালিশা পড়লে তুষ্ট হন বজরংবলী। তবে হনুমান চালিশা শুধু পড়লেই হল না। সঠিক নিয়ম না মানলে হিতে বিপরীত হতে পারে। জানেন হনুমান চালিশা পাঠের সঠিক নিয়ম? আসুন আমরা জেনে নিই কীভাবে হনুমান চলিশা পাঠ করা উচিত।
- যদি আগে কখনও হনুমান চালিশা না পড়ে থাকেন তাহলে, মঙ্গলবার স্নান করে স্বচ্ছ পোশাক পরে এর পর বজরংবলীর পুজো করুন। পুজোর সময় কুশ বা অন্য কোনও আসনে বসতে পারেন। তার পর হনুমান চালিশা পাঠ করুন।
- হনুমান চালিশা পাঠ শুরু করার আগে সর্বদা গণেশের আরাধনা করবেন।
- গণেশের আরাধনার পর সীতা ও রামকে স্মরণ করে সংকটমোচনকে প্রণাম করুন এবং হনুমান চালিশা পাঠের সংকল্প নিন।
- এর পর বজরংবলীর সামনে ধূপকাঠি ও প্রদীপ জ্বালিয়ে ফুল অর্পণ করে হনুমান চালিশার পাঠ শুরু করুন।
- বজরংবলী রামের ভক্ত হওয়ায় চালিশা পাঠ হয়ে যাওয়ার পর রামের স্মরণ করুন।
- শেষে বজরংবলীকে বোঁদে বা বেসনের লাড্ডুর ভোগ নিবেদন করবেন।
- শাস্ত্র মতে, হনুমান চালিশা জোরে জোরে পড়া উচিত। নিরবে নয়। আবার গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করলে তা মনে মনে পাঠ করাই শ্রেয়।
- শাস্ত্র মতে, হনুমান চালিশা জোরে জোরে পড়া উচিত। নিরবে নয়। আবার গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করলে তা মনে মনে পাঠ করাই শ্রেয়।
- মনে করা হয় মঙ্গলবার ভোর রাতের সময় হনুমান চালিশা পাঠ করা সবচেয়ে ফলদায়ক। বিশ্বাস, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত অবধি হনুমান নিজে তাঁর আরাধ্য শ্রীরামের ধ্যানে মগ্ন থাকেন। তাই সূর্যাস্তের পরে তাঁর ধ্যান করা ভাল। সূর্যোদয়ের আগে আগে হনুমান চালিশা পাঠ করলে সর্বাধিক ফল পাওয়া যায়।