‘প্যানিক এটাক’ শব্দটা এখন বেশ পরিচিত। মূলত প্রবল মানসিক চাপ থেকেই হয় এও প্যানিক এটাক। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনের ব্যায়াম করা খুবই জরুরি। শরীরকে ফিট রাখার জন্য ডায়েট করেন, এক্সারসাইজ করেন। মনের যত্ন নেওয়ার জন্য কী করেন? মানসিক স্বাস্থ্যও জরুরি। তাই আমাদের আধুনিক জীবনে মানসিক স্বাস্থ্যচর্চা খুবই জরুরি।
কাজের চাপ, ব্যক্তিগত জীবনে ওঠাপড়া সবই মনের উপর চাপ সৃষ্টি করে। আবার যদি কোনও ঘটনায় পড়ে তৈরি হয় অ্যানজাইটি, তখন কী করবেন? হঠাৎ প্যানিক অ্যাটাক কিংবা অ্যানজাইটি অ্যাটাক শুরু হয়, তখন নিজেকে সামলানো কঠিন হয়ে পড়ে। বুকের ভিতরটা দুমড়ে মুচড়ে ওঠে। ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। তখন কী করবেন?
সাহায্য নিন মেডিটেশনের। * আশেপাশে কী হচ্ছে, পুরোপুরি ভুলে যান। শান্ত পরিবেশ বেছে নিন। এমন জায়গা বেছে নিন, যেখানে শোরগোল কম নেই। শান্ত পরিবেশে মেডিটেশন করুন।
- ফোনে ৫-১০ মিনিটের টাইমার সেট করে নিন। তারপর চোখ বন্ধ করে বসুন। বারবার চোখ খুলে দেখবেন না। একাগ্রতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে হালকা গান বা মেডিটেশন মিউজ়িক শুনতে পারেন।
- ধ্যান করার চেষ্টা করুন। চোখ বন্ধ করে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। শ্বাস নেওয়া থেকে শ্বাস ছাড়া পর্যন্ত একটি চক্র যেন সম্পূর্ণ হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এভাবে টানা ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন।
- মেডিটেশন করার সময় কোনও মন্ত্রও উচ্চারণ করতে পারেন। যখন বুঝতে পারবেন হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হয়েছে, উদ্বেগ কমেছে তখন ধীরে ধীরে চোখ খুলুন। তারপর এক গ্লাস জল পান করুন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই কেটে যাবে আপনার প্যানিক অ্যাটাক।