পোষ্য কুকুরটা আবার আর পাঁচটা কুকুরের মতো নয়, এটা আসলে এক প্রজাতির নেকড়ের মতো। সতীশ জানিয়েছে, ও ওটা প্রায় ৫০ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছে। আর গোল বেঁধেছে এখানেই। সতীশ বলেন,”এটা কুকুর নয়, নেকড়ে।” বেঙ্গালুরুর এক যুবক নেকরে-কুকুর পোষার দাবি করেই ক্ষান্ত হননি। রীতিমতো বুক ঠুকে জানিয়েও দিয়েছিলেন প্রায় ৫০ কোটি টাকা খরচ করে কিনেছেন এই দুর্লভ সংকর প্রজাতির কুকুর। আর একথা জানতে পেরেই তাঁর বাড়িতে হানা দিল ইডি। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম এস সতীশ। সোশাল মিডিয়ায় তিনি জানিয়েছিলেন কুকুরটির দাম প্রায় ৫০ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনি আমেরিকা থেকে এই কুকুরটি আনিয়েছেন। ক্যাডাবম্ব ওকামি প্রজাতির কুকুরটি আসলে নেকড়ে ও ককেশিয়ান শেফার্ডের সংকর। এই দাবিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল দেশি ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলিতে।
ছড়িয়ে পড়েছিল সতীশ ও তাঁর কুকুরের বহু ছবি ভিডিও। এরপরই তা কানে যায় ইডিরও। দ্রুত সতীশের বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। যদিও ইডি আধিকারিকরা সেখানে তল্লাশি চালাতেই দেখা যায় সেখানে ওই কুকুরটির কোনও চিহ্নই নেই! পরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হতে সতীশ স্বীকার করে নেন, কুকুরটি মোটেই তাঁর নয়। তিনি কেবলই সেটির সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন সোশাল মিডিয়ায় পাত্তা পাওয়ার জন্য। তাছাড়া এর দামও লাখখানেকের বেশি নয়। তবে এই দাবির পরও ইডি তদন্ত চালিয়ে গিয়েছে। সন্দেহ ছিল, বেআইনি লেনদেনে অর্থাৎ হাওলা মারফত টাকা পাঠানো হয়েছিল কিনা। কিন্তু যতই এগিয়েছে তদন্ত, পরিষ্কার হয়েছে ওই বিপুল অর্থের ধারেকাছে উপার্জনই নেই সতীশের।