পুরান মতে দেবি কালীর ১১টি রূপ। প্রায় সমস্ত রূপে একটা বিষয় খুবই কমন তা হলো, মহাদেবের বুকে দাঁড়িয়ে আছেন মা কালী। এই নিয়ে পুরানে অনেক ব্যাখ্যা আছে। তবে ব্যতিক্রম দেখালো মধ্যেমগ্রামের
মহাকাল মন্দির। কালীর বুকের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছেন দেবাদিদেব শিব। মধ্যমগ্রাম বাদু রোডে বাবা-মাকালের মন্দিরে মহাকালের পায়ের নিচে শুয়ে রয়েছেন কালি। যেন প্রকৃতি রূপে কালীকে শাসন করছে মহাকাল। কিন্তু কেন এমন মূর্তি? কী তার রহস্য? সেই খবরই সামনে এসেছে এবার।
এই নিয়ে স্থানীয় মানুষ ও পুরোহিত বলেন, “১৯৮০ সালে এখানে একটা ক্যালেন্ডার আসে। সেখানেই মহাদেবের এই রূপ প্রথম দেখা যায়। তখন থেকেই পুজোটা এভাবে শুরু হয়। প্রথমে যদিও ক্যালেন্ডারে পুজো হতো। তারপর মূর্তিতে।” মহাদেব এখানে চতুর্ভুজ, নীল বর্ণের। তিনি দক্ষিণা কালিকার দেহে পা রেখে দাঁড়িয়ে। অর্থাৎ সাধারণ কালী মূর্তির একেবারে উল্টো অবস্থান। এই মূর্তি যেন প্রকৃতি আর পুরুষের ভারসাম্যের প্রতীক। সেবাইত অর্ঘ্য বলছেন, এইভাবে পুজো কোথায় হয় না। তথ্য বলছে, এ ধরনের ব্যতিক্রমী মহাকালের মূর্তি ভূ-ভারতে আছে মাত্র তিনটি। বেনারস, উজ্জয়িনী এবং মধ্যমগ্রামে।