এর পিছনে আছে একটা গল্প। পেশায় কাঠের মিস্ত্রি স্বপন সূত্রধর কয়েক বছর আগে তার বাবাকে একটা স্কুটি উপহার দিয়েছিলো। বাবাও প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন সেই স্কুটি। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পরে অযত্নে পড়েছিল সেই আদরের স্কুটি। বাবার মৃত্যুর পর সেই স্কুটিটি নষ্ট হচ্ছিল। স্বপনবাবু তাঁর বাবার স্মৃতি চিরকাল অক্ষুণ্ণ রাখতে অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন। নিজের কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করেছেন কাঠের স্কুটি। পেট্রোল চালিত এই স্কুটিটির সব কিছুই কাঠের। সিট থেকে লুকিং গ্লাস, পাদানি সবকিছুই কাঠের। এই নতুনের মোড়কে রয়েছে তাঁর বাবার ব্যবহার করা স্কুটারের যন্ত্রাংশ। এই স্কুটি নিয়ে রাস্তাতেও বেরিয়েছেন স্বপন। তবে এখন আরও কাজ বাকি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
স্বপনবাবুর কথায়, “বাবাকে ১৫-২০ বছর আগে স্কুটিটি কিনে দিয়েছিলাম। তবে প্রায় ১০ বছর আগে বাবা মারা যাওয়ার পর এটা পড়েই ছিল। নষ্ট হচ্ছিল। তাই ঠিক করি কাঠ দিয়েই গাড়িটিকে নতুন করে তৈরি করব।” নদিয়ার চাকদহের বালিয়াভাজা এলাকায় বাসিন্দা স্বপন সূত্রধর। পেশায় কাঠমিস্ত্রি তিনি। পাশাপাশি একটি খাবার হোটেল চালান। তরুণ বয়সে বাবাকে স্কুটি উপহার দিয়েছিলেন স্বপন। বাবার মৃত্যুর পর সেই স্কুটিটি নষ্ট হচ্ছিল। সেই স্কুটিটির যন্ত্রগুলি ব্যবহার করে বানিয়ে ফেলেছেন মেহগনি কাঠের স্কুটি।