www.machinnamasta.in

ওঁ শ্রীং হ্রীং ক্লী গং গণপতয়ে বর বরদ সর্বজনস্ময়ী বশমানয় ঠঃ ঠঃ

April 20, 2025 4:51 am

সারা ভারত জানে যে সিঙ্গুর থেকে টাটাদের বিদায়ের মূল কারিগর তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও সমস্ত খেলাটাই খেলেছেন মমতার তৎকালীন ডানহাত শুভেন্দু অধিকারী।

সারা ভারত জানে যে সিঙ্গুর থেকে টাটাদের বিদায়ের মূল কারিগর তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও সমস্ত খেলাটাই খেলেছেন মমতার তৎকালীন ডানহাত শুভেন্দু অধিকারী। সেই শুভেন্দু এখন বলছেন, টাটাদের হাত-পা ধরে ক্ষমা চেয়ে তাদের ফিরিয়ে আনবো। এই রাজনীতির ভোল-বদল দেখে স্তম্ভিত বাঙালি। তাই এটাই হোক আজকের অফবিট নিউজ। শিল্পকে অস্ত্র করে সিঙ্গুরে পথে বিজেপি। রতন টাটার ছবি নিয়ে শোক মিছিল করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই রাজ্যের শিল্প নীতির তুলোধনা করেন। চাঁচাছোলা ভাষায় কটাক্ষবাণ শানিয়ে তিনি বলেন, “ক্ষমতায় এলে আমরা হাতে-পায়ে ধরে টাটা কোম্পানিকে ফেরাব। আজ বাঙালি হয়ে ওনার কাছে ক্ষমা চাইছি। ক্ষমা চাইতে এসেছি।” যে বড়ো ভুল হয়ে গেছে, সেই ভুল কি আর শোধরানো যাবে? কখনোই যাবে না।

শুক্রবার সিঙ্গুরের গোপালনগর সাহানাপাড়া থেকে টাটা কারখানার এক নম্বর গেটের কাছে পর্যন্ত মিছিল করেন শুভেন্দু অধিকারী। ৬০০ মিটারের ওই পদযাত্রায় শুভেন্দুর সঙ্গে পা মেলান জেলার শীর্ষস্তরের অনেক পদ্ম নেতাও। তারপর করেন সভা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকলের হাতে দেখা গেল রতন টাটার ছবি। বিজেপির দাবি সিঙ্গুরে টাটা কারখানা তৈরি করতে আসার পিছনে প্রকৃত নায়ক ছিলেন রতন টাটা। প্রসঙ্গত, বাম আমলের শেষ লগ্নে সিঙ্গুর আন্দোলন বাংলার পাশাপাশি ঝড় তুলেছিল গোটা রাজ্যে। চলেছিল দীর্ঘ আন্দোলন, হয়েছিল অনশন। জননেত্রী হিসাবে উঠে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত ইতি পড়ে বাম শাসনে। মসনদে বসেন মমতা। কিন্তু মমতাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যদিও এখন মমতা বলেন, ‘টাটাকে আমি তাড়াইনি, সিপিএম তাড়িয়েছে।’ যদিও শুভেন্দু এদিন বলেন, “এই জমির সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন বুদ্ধবাবু মেরে তুলে দিলে এই সর্বনাশ হত না।” আর বাঙালি বলছে – আর কত রঙ্গ দেখবো আমরা।

administrator

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *