হিন্দু ধর্মে ‘তুলসী’ গাছ ও পাতাকে খুবই পবিত্র মনে হয়। একাধিক পুরানে বলা হয়েছে ‘তুলসী’ স্বয়ং লক্ষ্মী। পুরোহিত তন্ত্রে বলা হয়েসে পিতৃপক্ষে এই তুলসী আপরিহার্য। কিন্তু কেন? কথিত আছে, এই পিতৃপক্ষের সময় আত্মার শান্তি কামনা করা, শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান, তর্পণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এসময় পূর্ব পুরুষদের খুশি করতে অনেকেই নানান কাজ করেন। ভাদ্র মাসের পূর্ণিমা তিথি থেকে শুরু হচ্ছে পিতৃপক্ষ। চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পিতৃপক্ষ। যা চলবে অক্টোবর মাসের ২ তারিখ পর্যন্ত। এই সময় যদি আপনি পিণ্ডদান করেন, তর্পণ করেন আচার অনুষ্ঠান মেনে তাহলে কিন্তু পূর্বপুরুষেরা খুব খুশি হন।
জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে,
যেকোনও ধর্মীয় কাজ ও শুভ কাজে তুলসী গাছের ব্যবহার করা হয়। ঠিক তেমনি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান, পূর্বপুরুষদের খাদ্যতে তুলসী পাতা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। সেই সঙ্গে পিতৃপক্ষে পূর্বপুরুষদের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান পিন্ডদানেও কিন্তু তুলসী পাতা ব্যবহার হয়। যার অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
শ্রাদ্ধের সময় পূর্বপুরুষের আচার অনুষ্ঠান মেনে খাবারে তুলসী পাতা দেন, তাহলে সেটি শুদ্ধ হয়। তাঁদের খাবারে তুলসী পাতা দিলে খাদ্য শুদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনে ওপর থাকা সমস্ত বিপদ কাটতে থাকে। এমন কি পিতৃদোষ থাকলে তাও দূর হয়। এতে পূর্বপুরুষদের কৃপায় আপনি জীবনে খুব এগিয়েও যেতে পারেন। মনে করা হয়, এই পিতৃপক্ষের সময় শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের সময় বাড়ির যেকোনও সদস্য তুলসী গাছের পাশে একটি বাটি জল রেখে দিন। তার পর হাতে গঙ্গাজল নিয়ে পূর্বপুরুষদের নাম স্মরণ করুন। তারপর সেই জল তুলসী তলায় ঢেলে দিন। তারপর হাত জোড় করে তুলসী দেবীকে প্রণাম করুন। এতেই জল দান করা হবে পিতৃ পুরুষকে। তাই তুলসী বিনা পিতৃ পুরুষকে জলদান, তিলদান সম্পূর্ণ হয় না।